আঠারো: সদস্য সংগ্রহ চলছে

follow-upnews
0 0

আঠারো  প্রধানত একটি শিশু কল্যাণমূলক সামাজিক সংগঠন। পাশাপাশি আঠারো বিভিন্ন সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সংকটকালীন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। ২০০৯ সালে দিব্যেন্দু দ্বীপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেছিলেন মেহেদি সুলতানা, বিপুল কুমার, কাজী সাব্বির আহমেদ অনিন্দ্য, নির্মল চন্দ্র গোপ, আফরিন আক্তার, জাহাঙ্গীর আলম সুর, শর্মিলা সিনড্রেলা, জাকিয়া সুলতানা মুক্তা, ফারজানা কাদের মুক্তা, কিরণ শেখর কুন্ডু, শেখর বালা, তন্ময় বালা, মোস্তফা কামাল বিপ্লব সহ আরো অনেকে।

২০০৯ সালে সংগঠনটি শুরু করেছিল পরিচ্ছন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসূচী-ক্লিনডিইউ’  যেটি পরবর্তীতেক্লিনঢাকা সিটি’ কর্মসূচীতে রূপ নেয় এবং জাপান সরকার অনুদান দেয় সিটি কর্পোরেশনে, বসানো হয় দামী ডাস্টবিন! আমরা অবশ্য এতটা বোমবাস্টিং কিছু চেয়েছিলাম এমনটি নয়, আমরা চেয়েছিলাম মানুষ সচেতন হোক। মানুষ সচেতন হলে দামী ডাস্টবিন দরকার হতো না।

২০০৯ সালে অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা ডাকসু নির্বাচনের ওপর সেমিনার আয়োজন করেছিলাম। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো কয়েজন প্রতিথযশা শিক্ষকসহ তৎকালীন ছাত্রনেতাবৃন্দ। উপস্থিত ছাত্রনেতাদের মধ্য থেকে এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

প্রতিবছর আমাদের গ্রামে কিছু কর্মসূচী থাকে, শীতবস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি আমরা গ্রামের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে থাকি। পথশিশুদের মধ্যে সচেতনতামূলক কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়। গ্রামের স্কুলে গেয় স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়।

সবচে বড় কথা, সদস্যদের মধ্যে রয়েছে পারস্পারিক সহযোগিতামূলক মনোভাব, এ বিষয়ে সবাই আসলে অঙ্গিকারাবদ্ধ। একজন সদস্যের যে কোনো সংকটে অন্যরা এগিয়ে আসেন। চাকরি, রক্ত সংগ্রহ, কারো চিকিৎসা/চিকিৎসা ব্যয়, বেকারত্ব, ভর্তি ইত্যাদি যে কোনো সমস্যায় আঠারো’র সদস্যরা পরস্পরের পাশে দাঁড়ায়।

পাশাপাশি আঠারো ট্যুরের আয়োজন করে থাকে। প্রতি বছর তিনটি ট্যুরের আয়োজন করা হয়। ট্যুরে অংশ গ্রহণের জন্য অবশ্যই সংগঠনের সদস্য হতে হয়। কারণ, আমরা ট্যুরে স্পন্সর নিয়ে থাকি এবং ট্যুরে শেষে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করি।

আঠারো একটি সংগঠন নয় শুধু যেন একটি পরিবার, আমরা চাই বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে এমন একটি দেশ হয়ে উঠুক যেটি শুধু সমৃদ্ধির পরিচয়ে নয়, মানবিক মূল্যবোধের পরিচয়ে বিশ্বজয় করবে।

“কেন আমি সংগঠনটির সদস্য হব?” প্রশ্নটির উত্তর ফরমের শেষে এসে নিম্নোক্ত অনুচ্ছেদে পরিষ্কার করা হয়েছে:

“আমি … … … … … … … … এই মর্মে প্রত্যয়ন করছি যে সংগঠনের নিয়ম-নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে অন্যান্য সদস্যদের যেকোনো সমস্যায় সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়াব এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখব। নিয়মিত বাৎসরিক চাঁদা প্রদান করব এবং আঠারো কর্তৃক আয়োজিত সাপ্তাহিক ল্যাংগুয়েজ কোর্স, আবৃত্তি-সংগীত-চিত্রকলা, লাইফ স্কিল ট্রেনিং এবং অন্যান্য ট্রেনিং ও ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করব।


ফরমের ডকুমেন্ট ফাইল প্রাপ্তির জন্য: ০১৮৪ ৬৯ ৭৩২৩২, ০১৭৯ ৪৯ ১৩৫৮৪, ০১৭১৭ ০৯৭০০৭ নম্বরে ফোন করুন। অথবা পিডিএফ ফরমটি ডাউনলোড করে ডকুমেন্টে কনভার্ট করে নিন। পূরণ করে পাঠিয়ে দিন নিম্নের ঠিকানায় অথবা ‘অাঠারো’ পেজে মেসেজ করুন। ফরম পাঠানোর পাশাপাশি সদস্য ফি বিকাশ করতে হবে।

ব্লক: সি, রোড: ৬, হাউস: ৫; বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা-১২১৯

[pdf-embedder url=”https://follow-upnews.com/wp-content/uploads/2018/02/১৮-সদস্য-নিবন্ধন-ফরম-Copy-1.pdf” title=”১৮ সদস্য নিবন্ধন ফরম – Copy”]


সম্পাদনা: আফরোজা আক্তার

Next Post

শাহিদা সুলতানার কবিতাঃ "এক বিষণ্ণ রোববারে" কাব্যগ্রন্থ থেকে

দূরত্ব সূর্যের কমলা রঙ নিভে গেলে রাত নামে আর তারপর সারা রাত জ্বলে জ্বলে ভোরের চিতায় মিশে যায় সব নক্ষত্রের গল্প।   এক অনিন্দিত সুন্দরের প্রতীক্ষায় শুরু হয় প্রতিটা প্রেমের গল্প, তবুও এগুলো কোনদিন দেখে না শেষের দৃশ্য মিলনান্তক সিনেমার মতো।   সেই ভোর থেকে বরফের চাই ভেঙে আমরা হেঁটেছি […]