বাংলাদেশের নারীমুক্তি আন্দোলনের পুরোগামী নেত্রী মুক্তিযোদ্ধা আয়শা খানমের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজ (০২ জানুয়ারি) সংগঠনের এক শোক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—
‘বাংলাদেশের প্রগতিশীল নারী আন্দোলনের পুরোগামী নেত্রী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আয়শা খানমের অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। আয়শা খানম ’৬৯—এর গণঅভ্যুত্থান থেকে আরম্ভ করে ’৭১—এর মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীকালে সকল প্রকার মৌলবাদবিরোধী প্রগতিশীল সামাজিক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। বরেণ্য নেত্রী কবি সুফিয়া কামালের মৃত্যুর পর বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি হিসেবে এবং তারও আগে থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে সাহসী সহযোদ্ধা হিসেবে মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন এবং আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন।
‘মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী নাগরিক আন্দোলনে, বিশেষভাবে নারীমুক্তি আন্দোলনে আমাদের সহযোদ্ধা আয়শা খানমের অকাল মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কখনও পুরণ হবে না। আমরা তাঁর পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্য, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।’
স্বাক্ষরদাতা: বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, কথাশিল্পী আনোয়ারা সৈয়দ হক, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, অধ্যাপক ডাঃ কাজী কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), ডাঃ আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, প্রাক্তন বিচারক সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, সমাজকর্মী আরমা দত্ত এমপি, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, ড. ফরিদা মজিদ, এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নান, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল—ই এলাহী, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়–য়া, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গাফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকমীর্ কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভূঁইয়া, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত—ই ফেরদৌসী লাকী, অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরু, এডভোকেট দীপক ঘোষ, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকমীর্ তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উল্যাহ, মানবাধিকারকমীর্ স্বীকৃতি বড়–য়া, সাংবাদিক দিব্যেন্দু দ্বীপ, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী পূর্ণিমা রাণী শীল, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল, লেখক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি প্রমুখ।