যুদ্ধটা আস্তিক বনাম নাস্তিক নয়, তার কোনো প্রয়োজনও নেই। যুদ্ধটা হওয়া দরকার ‘ঈশ্বর বনাম ঈশ্বর’; একদিকে রয়েছে প্রবল পরাক্রমশালী হিংস্র-স্বার্থপর-লোভী এক সাম্প্রদায়ীক ঈশ্বর, এবং অন্যদিকে নতজানু বিব্রত আধ্যাত্মিক এবং সাম্যবাদী ঈশ্বর। নাস্তিকতা বা আস্তিকতার মতো অপ্রয়োজনীয় দুটি শব্দ এত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে উপরিউক্ত অসমাপ্ত যুদ্ধের কারণেই, যে যুদ্ধটা আসলে শুরুই হয়নি। এ যুদ্ধ কোনোভাবেই ধর্মযুদ্ধ নয়, এ যুদ্ধ অর্থনৈতিক; যুদ্ধটা সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক। এটি সকল মহৎ বিপ্লবের সমার্থক, আসলে এটিই চূড়ান্ত বিপ্লব।