একজন ফটোগ্রাফার অর্থাৎ আলোকচিত্রশিল্পী হতে হলে

0 0

ফটোগ্রাফি কি

একজন ফটোগ্রাফার অর্থাৎ আলোকচিত্রশিল্পী হতে হলে যে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলে সুবিধা পাওয়া যেতে পারে আসুন খুব সহজে দেখে নাই।

১) প্রথমেই দেখে নেই ফটোগ্রাফ বা আলোকচিত্র কি?
-চলুন সাধারণভাবেই বুঝতে চেষ্টা করি।

আমাদের চোখে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি তার সব কিছুই পরিবর্তনশীল। কোনটা খুব দ্রুত, কোনটা দ্রুত, কোনটা ধীরে আবার কোনটা খুব ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে। সময়ের সাথে কিছু পরিবর্তন কিন্তু হচ্ছেই। এই চিরন্তন চলমান পরিবর্তনের কোন একটা অবস্থা কে মোটামুটি স্থায়ী একটি মাধ্যমে স্থির অবস্থায় ধরে রাখার ব্যবস্থাই ফটোগ্রাফ বা আলোকচিত্র।

তবে শুধুমাত্র ফটোগ্রাফ ক্যাপচার বা আলোকচিত্র গ্রহণ করা অর্থাৎ ছবি তোলাকেই সফল ফটোগ্রাফি বলা হয় ব্যাপারটা তেমন নয়।

২) ফটোগ্রাফি বা আলোকচিত্রকর্ম কি?
-আসুন আরেকটু বুঝতে চেষ্টা করি।

কলম দিয়ে আমরা কি করি, লিখি বা দাগ দেই তাইতো? এখন কেউ তা দিয়ে বাজারের লিস্ট তৈরি করেন, কেউ লিখিত পরীক্ষার উত্তর দেন, বিচারপতি মামলার রায়ে স্বাক্ষর করেন, কবি কবিতা লেখেন, গবেষক তথ্য-সিদ্ধান্ত লেখেন আবার শিশুরা পশু-পাখি-মাছ বা হিজিবিজি স্ক্রেচ করে। খেয়াল করুন, এখানে প্রতিটা কাজের-ই কিন্তু নির্দিষ্ট উদ্দ্যেশ্য বা লক্ষ্য রয়েছে। ঠিক একই ভাবে ছবি তোলারও যখন কোন লক্ষ্য বা উদ্দ্যেশ্য থাকে তখন তাকেই ফটোগ্রাফি বা আলোকচিত্রকর্ম বলা যায়

৩) ফটোগ্রাফির ২টি গুরুত্বপূর্ন দিক কি কি?
-দেখুন ফটোগ্রাফি বা আলোকচিত্র শিল্পকর্মের সব কিছুই আমারা কিভাবে ২টি ভাগে বিভক্ত করে আরো কিছুটা সহজ ছকে ফেলতে পারি।

১ম টি হতে পারে কৌশলগত বা যান্ত্রিক অর্থাৎ টেকনিক্যাল দিক।

এবং, ২য় টি হচ্ছে মনন বা শৈল্পিক অর্থাৎ ক্রিয়েটিভ দিক।

বুঝতে যাতে সহজ হয় তার জন্যে, পুরোপুরি একই না হলেও একটা উদাহরন দেখা যাক।

=>একটা উপন্যাস আপনার হাতে। এর টেকনিক্যাল দিক হতে পারে বইটির ছাপার অক্ষরের কালি কতটা স্পস্ট, পৃষ্ঠার মান কেমন, লেখার অক্ষরের সাইজ কেমন সহজে পড়া যাচ্ছে কিনা, কাভার পেজ রঙ্গিন নাকি সাদা-কালো, বইটির বাইন্ডিং অর্থাৎ বাধাই কোয়ালিটি কেমন এইসব।

=>উপন্যাসটির মনন বা ক্রিয়েটিভ উৎকর্ষতার দিক হতে পারে; উপন্যাসটির অর্থ বোঝা কতটা সহজ, উপন্যাসটি পাঠকের মনে কেমন এবং কত ধরণের প্রভাব ফেলছে, উপন্যাসটির গভীর কোন ম্যেসেজ আছে কিনা এইসব।

 

আজ এ পর্জন্তই থাক পরবর্তিতে অল্প-অল্প করে আরো লেখা যেতে পারে।
নিজের মত করে যা বুঝি তা কিছুটা প্রকাশ করতে চাইলাম। ভূল থাকতে পারে, তাই নিজের মত করে আরো স্ট্যাডি করুন, জানার চেষ্টা করুন, বুঝার চেষ্টা করুন। শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন। ধন্যবাদ!

Next Post

শাহিদা সুলতানার কবিতা: শেষকৃত্য

আমি চলে গেলেও তোমার জন্য রেখে গেলাম কিছু অনিবার্য ব্যস্ততা। এখন এই গভীর অন্ধকারে তুমি গভীর ঘুমে তলিয়ে। তুমি কি টের পাচ্ছো যে আমি চলে যাচ্ছি, তোমাকে কোন কিছু না জানিয়েই?   এখনো তুমি জান না, কাল তোমার অফিস যাওয়া হবে না, সকালের আড়ষ্ট আঙুলেই ডজন খানেক ফোনের ডায়ালে ক্লান্ত […]
কলাবতী ফুল