বিনা অপরাধে মারিয়াসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর । মাইন রানা

follow-upnews
0 0

11014622_10207122584771461_4374451213179055665_n

ডেনমার্কের কোপেনহেগেন এর একটি চিড়িয়াখানা মারিয়াস নামে একটি যুবক জিরাফের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিরুদ্ধে শত শত মানুষ প্রতিবাদ ও আন্দোলন করেছিল। কিন্তু চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ কারো কথা শোনে নাই। গত বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি মাথায় পিস্তল দিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে জিরাফটিকে হত্যা করা হয়। এরপর মারিয়াসের দেহ কেটে কেটে চিড়িয়াখানার সিংহদের খেতে দেয়া হয়।

কী ছিল মারিয়াসের অপরাধ?
মারিয়াসের কোন অপরাধ ছিলনা। চিড়িয়াখনা কতৃপক্ষ ইনব্রিডিং (Inbreeding) রোধ করতে তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। ইনব্রিডিং হল আন্তঃপ্রজনন, অর্থাৎ কাছাকাছি জিনের মধ্যে মিলন। এতে ভবিষ্যৎ বংশধর দুর্বল হয়ে যায়। ইনব্রিডিং এর ফলে প্রচ্ছন্ন বা Recessive জিন দ্বারা ভবিষ্যত বংশধর হুমকির মুখে চলে যেতে পারে। এই ইনব্রিডিং রোধ করার জন্যই তাকে হত্যা করা হয়।

মারিয়াসকে বাঁচাতে অন্দোলনঃ
প্রকৃতপক্ষে ইনব্রিডিং রোধ একটি ভাল পদক্ষেপ হলেও মারিয়াসকে হত্যা কেউ সমর্থন করে নাই। ইনব্রিডিং যাতে না হয় এজন্য মাত্র ২ বছর বয়সী এই তরুণ জিরাফকে এখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। অনেক ভাল ভাল চিড়িয়াখানা জিরাফটিকে নিয়ে যেতে প্রস্তাবও করে। অনেক এক্টিভিস্ট রাস্তায় আন্দোলন করে। অনলাইনেও পিটিশান সাইন করে। কিন্তু কোপেনহেগেন চিড়িয়াখানার নীতিমালায় কোন প্রাণী হস্তান্তর বা বিক্রি করার অনুমতি না থাকায় তারা হত্যা করারই সিদ্ধান্ত নেয়। অনেকে মারিয়াসকে অন্যসকল জিরাফের দল থেকে পৃথক খাচায় রাখার প্রস্তাব করে। কিন্তু চিড়িয়াখানা কতৃপক্ষ একা একটি জিরাফ আলাদা রাখাকে অমানবিক ঘোষণা করে হত্যা করাকেই মানবিক সমাধান বলে মনে করে।

মারিয়াসের জন্য ভালবাসাঃ
মারিয়াসের মৃত্যুদণ্ডের পর একে নিয়ে আলোচনা যেন আরো তুঙ্গে উঠে। নানান দেশের নানা প্রাণী সংগঠন ও প্রাণী অধিকার ফোরাম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদী কর্মসূচী আয়োজন করে। অনেক জায়গা থেকে এই নিষ্টুর কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা হয়। বিভিন্ন প্রাণী গবেষক এই নিষ্টুর হত্যাকাণ্ডকে অযৌক্তিক কর্মকাণ্ড বলে উপহাস করে।

ছবিঃ ইন্টারনেট

তথ্যসূত্রঃ
১) nationalgeographic.com
২) theguardian.com
৩) wikipedia.org
৪) bbc.com

Next Post

ছোটগল্প : “কাম”

পিরোজপুর টু খুলনা রুটের বাসের বাম পাশের সব সিট মহিলাদের জন্য বরাদ্দ। সিট ফাঁকা থাকলে বসা যাবে, তবে কোনো মহিলা থাকলে ছেড়ে দিতে হবে। নিয়ম যে খুব কড়াকড়ি মানা হয়, তা নয়, তবে এটাই নিয়ম। বাসের বাম পাশে সিটের উপরে ‘মহিলা’ লেখা আছে, ছোট্ট একটি ছবিও আঁকা আছে। কেউ উঠতে […]