রণজিৎ বিশ্বাস
রণজিৎ বিশ্বাসের জন্ম ১৯৫৬ সালের ১লা মে। পিতা অর্পণচরণ বিশ্বাস ছিলেন স্কুলশিক্ষক, মাতা স্নেহলতা বিশ্বাস সাধারণ বাঙালী গৃহিণী। মি. বিশ্বাসের লেখালেখির শুরু ১৯৭৩ সালে। মুক্তিযুদ্ধ, মানুষ এবং মানবতা নিয়ে তিনি লেখালেখি করেছেন। দৈনিক, সাপ্তাহিক পত্রিকায় নিয়মিত লিখেছেন। বইয়ের সংখ্যাও কম নয়, এবং প্রতিটি মানসম্মত।
বইগুলো-
পুরো সিরিয়াস আধা রম্য;
অামার আলো আমার আঁধার;
আমার হরিষ আমার বিষাদ;
ভয়াবহ সুন্দর একটি লাল জামার গল্প;
মানুষ ও মুক্তিযুদ্ধের সংলাপগদ্য;
ক্রিকেটের কথা শোনো অমৃত সমান;
আমার প্রথম গল্প উনিশ;
ব্যবহারিক বাংলা: যত ভুল তত ফুল;
ভাষার যত গোলক ধাঁধা;
রম্যারম্য বচনকথন;
মাতৃভুমির মালিকানা;
শুদ্ধ লেখা শুদ্ধ বলা;
হৃৎকথনের রেণুকণা;
কুড়িয়ে পাওয়া সংলাপ;
প্রতিদিনের পথের ধুলায়;
রম্যকথা এক ঝাঁপি।
রণজিৎ বিশ্বাস মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের পক্ষে লিখে চলেছেন ১৯৭৫ সাল থেকে বিরামহীনভাবে। তাঁর জনপ্রিয় কলামগুলো হচ্ছে, কুড়িয়ে পাওয়া সংলাপ (কালের কণ্ঠ), জীবনকথন (জনকণ্ঠ), রম্যকথন (যুগান্তর), প্রতিদিনের পথের ধূলায় (দৈনিক আজাদী, চট্টগ্রাম), রম্যকথার একঝাঁপি (দৈনিক পূর্বকোণ, চট্টগ্রাম), নিত্যদিনের কড়চা (পূর্বকোণ), এবং ভাষা শেখার আনন্দ (প্রথম আলো)।
ক্রিকেট বিষয়ক রচনায় তিনি গত ত্রিশ বছর ধরে প্রথম সারির লেখক। সিভিল প্রশাসনে সফলভাবে থেকে যেটি সচারচর দেখা যায় না। বাংলাদেশ বেতার এবং টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছেন। বেতারে তিনি নিয়মিত কথিকা প্রদায়ক।
একসময় পেশাদার সাংবাদিক ছিলেন। দারিদ্র্যের সঙ্গে অাশৈশব সংগ্রাম করে পথচলা রণজিৎ বিশ্বাস একজন স্বনির্মিত ব্যক্তি। নিজের গ্রামে প্রতিবছর দুজন শিক্ষার্থীকে (একজন ছাত্র একজন ছাত্রী) নিজ অর্থে বৃত্তি প্রদান করেন। নিজের অকালপ্রয়াত সন্তান অভিষেক বিশ্বাস হীরার নামে তিনি এ বৃত্তি প্রদান করে আসছেন।
১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন। ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস (কলাম নাম: রণজিৎ বিশ্বাস) মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী শক্তি কর্তৃক চারবার পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন, এরপর বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তিনি সচিব হন। রণজিৎ বিশ্বাস দু সন্তানের জনক, অভিষেক বিশ্বাস হীরা এবং উপমা বিশ্বাস মুক্তা।