প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড়-এর গতিবেগ যখন ঘণ্টায় ১১৭ কি.মি.-এর বেশি হয়, তখন এই ঝড়কে টাইফুন নামে অভিহিত করা হয়।
শুনি বটে, তবে টাইফুন, হ্যারিকেন ও সাইক্লোনের পার্থক্য অনেকেই আমরা জানিনে। সবই ঝড়, নাম ভিন্ন। উৎপত্তিস্থলের পার্থক্য এবং মৌসুমের কারণে এই ভিন্নতা। প্রকৃতপক্ষে ঝড় দুই প্রকার: ১। টর্নেডো; ২। সাইক্লোন। উৎপত্তিস্থল অনুসারে সাইক্লোন কখনো হ্যারিকেন, কখনো টাইফুন, কখনো সাইক্লোন।
টর্নেডো:
তিন দিক থেকে ধাবিত বায়ু যখন একটি কেন্দ্রে মিলিত হয়, তখন কেন্দ্রে প্রচন্ডভাবে বায়ু ঘুর্ননের সৃষ্টি হয়। তিন দিকের বায়ুর মধ্যে যে দিকের বায়ুর গতি বেশী তীব্র, ঝড়টি তার বিপরীত দিকে এগিয়ে যায়। তিনদিকের বায়ুর মিলিত ঝড় যখন স্থলভাগে সৃষ্টি হয় তাকেই টর্নেডো বলে। এক কথায় টর্নেডো হচ্ছে স্থলভাগে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়।
হ্যারিকেন:
হ্যারিকেন নামটা আসলে উৎপত্তি স্থালের নামানুসারে হয়েছে। সমুদ্র সৃষ্ট সব ঝড়ই সাইক্লোন। পার্থক্য হচ্ছে- ভারত মহাসাগরে সৃষ্টি হলে বলা হয় সাইক্লোন এবং উত্তর প্যাসিফিক মহাসাগরে এবং অ্যাটল্যান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঝড় সমূহকে বলা হয় হ্যারিকেন।
সাইক্লোন:
সমুদ্রে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় প্রবল বেগে উপকূলে আছড়ে পড়লে তাকে সাইক্লোন বলে। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগর হতে উৎপন্ন ঝড়কে সাইক্লোন বলা হয়।
টাইফুন:
মূলত চীন ও জাপান সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরে উৎপন্ন সাইক্লোনকে টাইফুন বলা হয়। চীনা টাই-ফেং শব্দের অর্থ হলো ‘প্রচণ্ড বাতাস’। এই শব্দ থেকে টাইফুন শব্দ অন্যান্য ভাষায় প্রবেশ করেছে। কোনো কোনো মতে ফার্সি বা আরবি শব্দ তুফান থেকেও টাইফুন শব্দটি আসতে পারে।
প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড়-এর গতিবেগ যখন ঘণ্টায় ১১৭ কি.মি.-এর বেশি হয়, তখন এই ঝড়কে টাইফুন নামে অভিহিত করা হয়।