বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তথ্য ও পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে (২০১৩ সালের সমীক্ষা)। ২০১৩ সাল পর্যন্ত দেশে মোট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮ হলেও ১০ টি তখনো পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেনি। এই ৬৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭৩৬ জন। এদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৮৪ হাজার ৬৪৫ জন আর ছাত্রের সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯১ জন। অর্থাৎ মোট শিক্ষার্থীর ২৫.৭৫ ভাগ ছাত্রী আর বাকি ৭৪.২৫ ভাগ ছাত্র। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ২০১৩ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিলো ১হাজার ৬১২ জন, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৩০ জন কম।
প্রতিবেদন অনুসারে শিক্ষার্থী সংখ্যা বিচারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থানে আছে। তাদের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২১ হাজার ৮৯৬ জন। এর পরেই আছে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি। তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১২ হাজার ৮৫৫ জন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তাদের শিক্ষার্থী আছে ১১ হাজার ২৪০ জন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে সেন্ট্রাল উইমেন ইউনিভার্সিটিতে। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ১৪৩ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী সংখ্যার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যে, বিগত আট বছরের মধ্যে ২০১৩ সালে শিক্ষার্থীর শতকরা বৃদ্ধির হার ছিল সবচেয়ে কম (৪.৪৮%)। শিক্ষার্থী বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ছিল ২০১১ সালে। আগের বছরের চেয়ে ১৭.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সেবার ২৭.২১ শতাংশ হয়েছিল সেবছর। তবে প্রতিবছরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নজরদারির থাকায় শিক্ষার্থীর অভিভাকদের মধ্যে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার প্রতি আাগ্রহ বেড়েছে, বলছে ইউজিসি।
দেখা যাচ্ছে, মোট শিক্ষার্থীর ৪০.৮২ শতাংশ ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে অধ্যয়নরত। অার ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি রয়েছে সবচেয়ে কম সংখ্যক ০.৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। সবচেয়ে বেশি আর সবচেয়ে কমের এই বিভাগ দুটি এর আগের বছরও অক্ষুণ্ন ছিলো। তবে আগের বছরের তুলনায় ২০১৩ সালে ব্যবসায় প্রশাসনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১.৫১ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া গত বেশ কয়েকবছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেখলে দেখা যাবে, মেয়ে শিক্ষার্থীদের হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেটা দেশের জন্য খুবই ইতিবাচক।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে সবথেকে বেশি শিক্ষার্থী নর্থসাউথের
final_1বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তথ্য ও পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে (২০১৩ সালের সমীক্ষা)। ২০১৩ সাল পর্যন্ত দেশে মোট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮ হলেও ১০ টি তখনো পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেনি। এই ৬৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭৩৬ জন। এদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৮৪ হাজার ৬৪৫ জন আর ছাত্রের সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯১ জন। অর্থাৎ মোট শিক্ষার্থীর ২৫.৭৫ ভাগ ছাত্রী আর বাকি ৭৪.২৫ ভাগ ছাত্র। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ২০১৩ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিলো ১হাজার ৬১২ জন, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৩০ জন কম।
প্রতিবেদন অনুসারে শিক্ষার্থী সংখ্যা বিচারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থানে আছে। তাদের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২১ হাজার ৮৯৬ জন। এর পরেই আছে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি। তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১২ হাজার ৮৫৫ জন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তাদের শিক্ষার্থী আছে ১১ হাজার ২৪০ জন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে সেন্ট্রাল উইমেন ইউনিভার্সিটিতে। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ১৪৩ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী সংখ্যার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যে, বিগত আট বছরের মধ্যে ২০১৩ সালে শিক্ষার্থীর শতকরা বৃদ্ধির হার ছিল সবচেয়ে কম (৪.৪৮%)। শিক্ষার্থী বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ছিল ২০১১ সালে। আগের বছরের চেয়ে ১৭.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সেবার ২৭.২১ শতাংশ হয়েছিল সেবছর। তবে প্রতিবছরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নজরদারির থাকায় শিক্ষার্থীর অভিভাকদের মধ্যে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার প্রতি আাগ্রহ বেড়েছে, বলছে ইউজিসি।
দেখা যাচ্ছে, মোট শিক্ষার্থীর ৪০.৮২ শতাংশ ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে অধ্যয়নরত। অার ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি রয়েছে সবচেয়ে কম সংখ্যক ০.৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। সবচেয়ে বেশি আর সবচেয়ে কমের এই বিভাগ দুটি এর আগের বছরও অক্ষুণ্ন ছিলো। তবে আগের বছরের তুলনায় ২০১৩ সালে ব্যবসায় প্রশাসনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১.৫১ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া গত বেশ কয়েকবছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেখলে দেখা যাবে, মেয়ে শিক্ষার্থীদের হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেটা দেশের জন্য খুবই ইতিবাচক।
২০১৩ সালে ৬৮টি বিশ্ববিদ্যালয় তেকে মোট ৫৪ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী ডিগ্রি লাভ করেছেন। এ সংখ্যার হার আগের বছরের চেয়ে বেশি। সে বছর এ সংখ্যা ছিলো ৪ হাজার ৯৮০ জন। তন্মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫৪৩ জন শিক্ষার্থী অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় তেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম সর্বাধিক ডিগ্রি প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে যথাক্রমে- ৪ হাজার ১৭৯ জন ডিগ্রি পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম থেকে, ২ হাজার ৭৩০ জন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে, ২ হাজার ৬১৯ জন সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটি এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেন থেকে ২ হাজার ৪২০ জন। সবচেয়ে কম সংখ্যক ডিগ্রি দেয়া হয়েছে নর্থ ইষ্ট ইউনিভার্সিটি থেকে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে মাত্র ২৩৪ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেয়া হয়েছিল।
২০১৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক ছিলেন ১২ হাজার ৫৪৩ জন, যা এর আগের বছরের তুলনায় ৪৩০ জন বেশি। এর মধ্যে পূর্ণকালীন শিক্ষক ৮ হাজার ৪৬৮ জন, খণ্ডকালীন শিক্ষক ৪ হাজার ৫৫ জন। এই ৬৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীর গত অনুপাত দাঁড়ায় ১:২৫, যা তার আগের বছরে ছিল ১:২৬ । পূর্ণকালীন শিক্ষকদের মধ্যে ৬৪৯ জন প্রফেসর, ৪৬৭ জন এসোসিয়েট প্রফেসর, ১ হাজার ৬৭৩ জন এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, ৫ হাজার ৫৩২ জন লেকচারার রয়েছেন।
মোট ১২ হাজার ৫৪৩ জন শিক্ষকদের মধ্যে ৩ হাজার ৫৫৬ জন মহিলা শিক্ষক। এর মধ্যে পূর্ণকালীন শিক্ষক ২ হাজার ৮২৬ জন এবং খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ৫২৩ জন। পূর্ণকালীন শিক্ষকদের মধ্যে ৫৫ জন প্রফেসর, ৬৯ জন এসোসিয়েট প্রফেসর, এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ৫৩০ জন,লেকচারার ২ হাজার ১৭২ জন।
‘>>>> বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে সবথেকে বেশি শিক্ষার্থী নর্থসাউথের <<< বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তথ্য ও পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে (২০১৩ সালের সমীক্ষা)। ২০১৩ সাল পর্যন্ত দেশে মোট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮ হলেও ১০ টি তখনো পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেনি। এই ৬৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭৩৬ জন। এদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৮৪ হাজার ৬৪৫ জন আর ছাত্রের সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯১ জন। অর্থাৎ মোট শিক্ষার্থীর ২৫.৭৫ ভাগ ছাত্রী আর বাকি ৭৪.২৫ ভাগ ছাত্র। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ২০১৩ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিলো ১হাজার ৬১২ জন, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৩০ জন কম। প্রতিবেদন অনুসারে শিক্ষার্থী সংখ্যা বিচারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থানে আছে। তাদের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২১ হাজার ৮৯৬ জন। এর পরেই আছে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি। তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১২ হাজার ৮৫৫ জন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তাদের শিক্ষার্থী আছে ১১ হাজার ২৪০ জন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে সেন্ট্রাল উইমেন ইউনিভার্সিটিতে। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ১৪৩ জন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী সংখ্যার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যে, বিগত আট বছরের মধ্যে ২০১৩ সালে শিক্ষার্থীর শতকরা বৃদ্ধির হার ছিল সবচেয়ে কম (৪.৪৮%)। শিক্ষার্থী বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ছিল ২০১১ সালে। আগের বছরের চেয়ে ১৭.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সেবার ২৭.২১ শতাংশ হয়েছিল সেবছর। তবে প্রতিবছরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নজরদারির থাকায় শিক্ষার্থীর অভিভাকদের মধ্যে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার প্রতি আাগ্রহ বেড়েছে, বলছে ইউজিসি। দেখা যাচ্ছে, মোট শিক্ষার্থীর ৪০.৮২ শতাংশ ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে অধ্যয়নরত। অার ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি রয়েছে সবচেয়ে কম সংখ্যক ০.৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। সবচেয়ে বেশি আর সবচেয়ে কমের এই বিভাগ দুটি এর আগের বছরও অক্ষুণ্ন ছিলো। তবে আগের বছরের তুলনায় ২০১৩ সালে ব্যবসায় প্রশাসনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১.৫১ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া গত বেশ কয়েকবছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেখলে দেখা যাবে, মেয়ে শিক্ষার্থীদের হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেটা দেশের জন্য খুবই ইতিবাচক। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে সবথেকে বেশি শিক্ষার্থী নর্থসাউথের final_1বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তথ্য ও পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে (২০১৩ সালের সমীক্ষা)। ২০১৩ সাল পর্যন্ত দেশে মোট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৮ হলেও ১০ টি তখনো পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করেনি। এই ৬৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭৩৬ জন। এদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৮৪ হাজার ৬৪৫ জন আর ছাত্রের সংখ্যা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯১ জন। অর্থাৎ মোট শিক্ষার্থীর ২৫.৭৫ ভাগ ছাত্রী আর বাকি ৭৪.২৫ ভাগ ছাত্র। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ২০১৩ সালে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিলো ১হাজার ৬১২ জন, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৩০ জন কম। প্রতিবেদন অনুসারে শিক্ষার্থী সংখ্যা বিচারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম স্থানে আছে। তাদের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২১ হাজার ৮৯৬ জন। এর পরেই আছে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলোজি। তাদের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১২ হাজার ৮৫৫ জন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তাদের শিক্ষার্থী আছে ১১ হাজার ২৪০ জন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে সেন্ট্রাল উইমেন ইউনিভার্সিটিতে। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা মাত্র ১৪৩ জন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী সংখ্যার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যে, বিগত আট বছরের মধ্যে ২০১৩ সালে শিক্ষার্থীর শতকরা বৃদ্ধির হার ছিল সবচেয়ে কম (৪.৪৮%)। শিক্ষার্থী বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি ছিল ২০১১ সালে। আগের বছরের চেয়ে ১৭.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে সেবার ২৭.২১ শতাংশ হয়েছিল সেবছর। তবে প্রতিবছরই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নজরদারির থাকায় শিক্ষার্থীর অভিভাকদের মধ্যে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার প্রতি আাগ্রহ বেড়েছে, বলছে ইউজিসি। দেখা যাচ্ছে, মোট শিক্ষার্থীর ৪০.৮২ শতাংশ ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে অধ্যয়নরত। অার ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি রয়েছে সবচেয়ে কম সংখ্যক ০.৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। সবচেয়ে বেশি আর সবচেয়ে কমের এই বিভাগ দুটি এর আগের বছরও অক্ষুণ্ন ছিলো। তবে আগের বছরের তুলনায় ২০১৩ সালে ব্যবসায় প্রশাসনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১.৫১ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া গত বেশ কয়েকবছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেখলে দেখা যাবে, মেয়ে শিক্ষার্থীদের হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেটা দেশের জন্য খুবই ইতিবাচক। ২০১৩ সালে ৬৮টি বিশ্ববিদ্যালয় তেকে মোট ৫৪ হাজার ১৬০ জন শিক্ষার্থী ডিগ্রি লাভ করেছেন। এ সংখ্যার হার আগের বছরের চেয়ে বেশি। সে বছর এ সংখ্যা ছিলো ৪ হাজার ৯৮০ জন। তন্মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫৪৩ জন শিক্ষার্থী অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় তেকে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম সর্বাধিক ডিগ্রি প্রদানকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে যথাক্রমে- ৪ হাজার ১৭৯ জন ডিগ্রি পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম থেকে, ২ হাজার ৭৩০ জন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে, ২ হাজার ৬১৯ জন সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটি এবং এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেন থেকে ২ হাজার ৪২০ জন। সবচেয়ে কম সংখ্যক ডিগ্রি দেয়া হয়েছে নর্থ ইষ্ট ইউনিভার্সিটি থেকে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে মাত্র ২৩৪ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক ছিলেন ১২ হাজার ৫৪৩ জন, যা এর আগের বছরের তুলনায় ৪৩০ জন বেশি। এর মধ্যে পূর্ণকালীন শিক্ষক ৮ হাজার ৪৬৮ জন, খণ্ডকালীন শিক্ষক ৪ হাজার ৫৫ জন। এই ৬৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীর গত অনুপাত দাঁড়ায় ১:২৫, যা তার আগের বছরে ছিল ১:২৬ । পূর্ণকালীন শিক্ষকদের মধ্যে ৬৪৯ জন প্রফেসর, ৪৬৭ জন এসোসিয়েট প্রফেসর, ১ হাজার ৬৭৩ জন এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, ৫ হাজার ৫৩২ জন লেকচারার রয়েছেন। মোট ১২ হাজার ৫৪৩ জন শিক্ষকদের মধ্যে ৩ হাজার ৫৫৬ জন মহিলা শিক্ষক। এর মধ্যে পূর্ণকালীন শিক্ষক ২ হাজার ৮২৬ জন এবং খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ৫২৩ জন। পূর্ণকালীন শিক্ষকদের মধ্যে ৫৫ জন প্রফেসর, ৬৯ জন এসোসিয়েট প্রফেসর, এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ৫৩০ জন,লেকচারার ২ হাজার ১৭২ জন।'