আইবিএ তো আসলে চাকুরে বানাতে চায় না। বানাতে চায় উদ্যোক্তা। সেক্ষেত্রে পাঠ্যক্রমটাও সেরকম। পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং আপনার হয়ে যাবে। আইডিয়া থাকলে প্রয়োজনীয় ক্যাশ-ক্যাপিটাল যোগাড় করা সহজ হবে।
আইবিএ তে পড়লে একাডেমিক অর্জন তো আছেই, তবে স্বীকৃতির দিকটাই বরং বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হল:
১। নিজের ব্রান্ডিং: কেউ আইবিএ থেকে পাস করেছে এটি শোনার সাথে সাথে একটা সাধারণ ধারণা তৈরি হয়ে যায়, যেটি অবশ্যই খুব ইতিবাচক। অর্থাৎ সার্টিফিকেট নিজেই আপনার হয়ে কাজ করবে, আপনি বিশেষ কিছু করার আগেই।
২। কোম্পানিতেগুলো বিশেষ চাহিদা: এটা বলা যায় ট্রেডিশনে পরিণত হয়েছে যে আইবিএ থেকে কেউ পাস করেছে শুনলে অনেক বেসরকারি ব্যাংক এবং কোম্পানি তাকে যোগ্য বলে ধরে নেয়। অর্থাৎ পাস করার সাথে সাথে, এমনকি রেজাল্ট হওয়ার পূর্বেই আপনি ভালো বেতনে চাকরি পাবেন, এটা এক রকম নিশ্চিত।
৩। এলুমনি হিসেবে আপনি এগিয়ে থাকবেন: বেশিরভাগ কোম্পানির শীর্ষপদে আইবিএ থেকে পাস করা সিইও বা এরকম বড় পদে লোক রয়েছে। তাদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই আপনি এগিয়ে থাকবেন। গুণ তো আপনার আছেই, কিছুটা পক্ষপাতিত্বও পেয়ে যাবেন।
৪। কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে নিজেকে যাচাই করার সুযোগ: ভর্তি পরীক্ষা খুব কঠিন হয় বলে আইবিএ তে নরমাল কেউ চান্স পায় বিশ্বাস করা কঠিন, তাই ভালোদের সাথে প্রতিযোগিতা করে করে নিজের ক্যারিশমা আরো বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ থাকে। তাছাড়া পারস্পারিক শিক্ষাটা তো নিজের অজান্তে হতে থাকে।
৫। নিজে উদ্যোক্তা হতে চাইলে: আইবিএ তো আসলে চাকুরে বানাতে চায় না। বানাতে চায় উদ্যোক্তা। সেক্ষেত্রে পাঠ্যক্রমটাও সেরকম। পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং আপনার হয়ে যাবে। আইডিয়া থাকলে প্রয়োজনীয় ক্যাশ-ক্যাপিটাল যোগাড় করা সহজ হবে। ছাত্রাবস্থায়ই বেশ কিছু টাকা উপার্জন করে ফেলতে পারবেন চাইলে, বই লিখে, কোচিং-এ ক্লাস নিয়ে বা টিউশনি করে।
৬। বিসিএস এ ডিমান্ড বাড়ছে: বিগত কয়েকটি বিসিএস এ আইবিএ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে। গত পাঁচটি বিসিএস এর মধ্যে অন্তত দুটিতে প্রথম হয়েছে আইবিএ থেকে পাশ করা শিক্ষার্থী। ভাইভাতে গিয়ে আপনি শুভদৃষ্টি পাবেন, একথা বলাই যায়।
#আগামী কাল থেকে ফলোআপ নিউজে আইবিএ তে ভর্তিচ্ছুদের জন্য একটি করে লেসন দেওয়া হবে।