শুভ দত্ত সৌরভ, বাগেরহাট
ব্রিটিশ আমলে বাগেরহাটে রেল আসে। প্রথমে রেল বেজ তারপর ব্রড বেজ। বাগেরহাট থেকে খুলনা পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন ছিল। বাগেরহাট, সরকারি পি.সি কলেজ, যাত্রাপুর, ষাটগম্বুজ মসজিদ, সামন্তসেনা, ফকিরহাট, কর্নপুর, বাহিরদিয়া ও রুপসা।
বাগেরহাটে রেল রোডের সামনে তিতলী স্টোরের মালিক অসীম দত্ত ফলোআপনিউজকে বলেন, আমরা পিসি কলেজে যেতাম ট্রেনে করে। দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক লস হতে হতে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
রেলরোডের সামনে সাদিয়া স্টোরের মালিক মোঃ মিলন হাওলাদার ফলোআপনিউজকে বলেন, তৎকালীন রেল ও যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু । উনি আসার পরে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। রেল যোগাযোগ থাকলে যে সুবিধা হত তা ভাষায় বর্ণনাতীত।
বাহির থেকে বিভিন্ন কাঁচামাল, মাছের পোনা আসত। বাগেরহাটের সাধারণ মানুষ এখন বাস মালিকদের কাছে জিম্মি বলে জানালেন কয়েকজন। বাগেরবাসীর দাবী অচিরেই রেল যোগাযোগ আবার চালু করে বাগেরহাট খুলনার মধ্যে সাধারণ মানুষের সহজতর যোগাযোগ আবার পুনঃস্থাপন করতে হবে।
প্রতিদিন রেল বাগেরহাট থেকে ছাড়ত সকাল ৯.০০ টা, দুপুর ২.০০ টা ও রাত্র ৮.০০টায়। রেলের নাম ছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তঃনগর।