গভর্নর আতিউর রহমানকে পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেছেন, চক্রান্ত করে শেখ হাসিনার কাছের লোকদের সরানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে পঁচাত্তরের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে এই আশঙ্কার কথা জানান সরকার সমর্থক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই নেতা।
অধ্যাপক আনোয়ার বলেন, “১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর আশে পাশে যেভাবে শূন্যতা সৃষ্টি করে তাকে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় শেখ হাসিনার চারপাশে শূন্যতা তৈরি করা হচ্ছে।
“শেখ হাসিনার পাশে যেসব সিভিলিয়ানরা ছিলেন, চক্রান্ত করে তাদেরকে সরানো হচ্ছে,” দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের সহকর্মী আতিউর রহমান এবং আবুল বারকাতের কথা বলেন তিনি।
রিজার্ভ চুরির ঘটনা চেপে রাখায় অর্থমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়া আতিউরকে দুদিন আগেই গভর্নর পদ ছাড়তে হয়। অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বারকাতও অর্থমন্ত্রীর বিরাগভাজন হয়েছিলেন। মেয়াদ নবায়ন না হওয়ায় তা বিদায় নিতে হয়েছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আনোয়ার মনে করেন, বর্তমান সরকার আমলা বা পুলিশের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
চারপাশে ‘শূন্যতা’ সৃষ্টি হওয়ায় শেখ হাসিনার সামনে ‘ভয়াবহ দিন’ অপেক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“প্রয়োজনে শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয় হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে হবে। তাসের ঘরের মতো কিছু ভেসে যেতে দেওয়া হবে না।”
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত এই আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এস এ মালেকও বক্তব্য রাখেন।