মানবতাবাদী লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই

follow-upnews
0 0

লেখক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী (১২ ডিসেম্বর ১৯৩৪ — ১৯ মে ২০২২) ছিলেন এক বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী। জীবনে সাংবাদিকতা ছাড়াও বিভিন্ন পেশাতে যুক্ত হয়েছেন। ঢাকা থেকে বরিশাল ফিরে গিয়ে যৌবনে কিছুদিন মার্কসবাদী আন্দোলনেও জড়িত হয়েছিলেন। কমপক্ষে ডজন খানেক পত্রিকায় বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন পদে চাকরি করেছেন। এমনকি কিছুদিন মুদ্রণ ব্যবসাতেও জড়িত ছিলেন। প্রবাসী সরকারের হয়ে কলম সৈনিক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ছিলেন ভাষাসৈনিক। ১৯৭৪ সালে স্ত্রীর চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডন গিয়ে থেকে যান। লন্ডনেও তারা পেশা জীবন ছিল বৈচিত্রেপূর্ণ। গ্রোসারি শপেও কাজ করেছেন। কিন্তু কোনোদিন নীতি আদর্শের সঙ্গে আপোষ করেননি। আজীবন মাটি ও মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়া এ মানুষটি আজ (১৯/০৫/২০২২) সকাল ৭ টায় ৮৮ বছর বয়সে লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি দেশের একজন অগ্রগন্য কলামিস্ট ছিলেন। তিনি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” এর রচয়িতা। এছাড়া তিনি লিখেছেন—

চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান (১৯৬০)

নাম না জানা ভোর (১৯৬২)

নীল যমুনা (১৯৬৪)

শেষ রজনীর চাঁদ (১৯৬৭)

কৃষ্ণপক্ষ (১৯৫৯)

সম্রাটের ছবি (১৯৫৯)

সুন্দর হে সুন্দর (১৯৬০)

ডানপিটে শওকত (১৯৫৩)

সম্পাদনা: বাংলাদেশ কথা কয় (১৯৭২)

পলাশী থেকে ধানমণ্ডি (২০০৭)- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ভিত্তিক একটি চলচ্চিত্রের কাহিনী

আমরা বাংলাদেশী নাকি বাঙ্গালী

মাদ্রাসা দিয়ে পড়াশুনায় হাতেখড়ি হলেও এরপর হাইস্কুলে ভর্তি হন, পরবর্তীতে এ গুণী মানুষটি পড়াশুনা শেষ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। মানবতাবাদ এবং বৈষম্যহীন সমাজকাঠামো ছিল তার জীবনাদর্শের ভিত্তি।

Next Post

বই পর্যালোচনা: যাব কি যাব না ভেবে ভেবে আমি দাঁড়িয়েই থাকি // শাহিদা সুলতানা

যাব কি যাব না ভেবে ভেবে আমি দাঁড়িয়েই থাকি কার কাছে যেতে চান কবি? নির্দিষ্ট কারো কাছে, নাকি প্রেমের যে আদিম প্রতিরূপ, সেই সত্তার কাছে? কোথায় দাঁড়িয়ে তিনি দোদুল্যমান— অধরা প্রেমিক এবং প্রকৃতির মাঝে, নাকি শ্বাশ্বত এক ‘তুমি’ এবং সামাজিক সে প্রাপ্তির মাঝে? কবির হাহাকার আছে, তাই বলে তিনি বঞ্চিত […]
Shahida Sultana

এগুলো পড়তে পারেন