নিজের স্বরূপকে খুব কাছ থেকে চিনে
একটা প্রশ্ন বড় নাড়া দেয় মনে
মানুষ কি সত্যিই পারে মহৎ হতে?নাকি
মহত্ত্বের মুখোশে উদারতার অভিনয় শুধু করে?
একদিন নিজেরই হাতে বুকের আগল খুলে
পোষা পাখিটাকে দিয়েছিলাম মুক্তি বিশাল আকাশে
ত্যাগের গৌরবে আর অহংকারে সেদিন সেজেছিল মন
বিজয়িনীর হাসিতে ঢেকেছিলাম আমি হারানোর সে ক্ষণ।
অথচ মুক্তির আস্বাদে সে পাখি ওড়ে
যখন অসীম শূণ্যে সীমাহীন আনন্দে
তার সুখে সুখী হয়েও কেন তারে
কিছুতেই ভুলতে পারে না এ হৃদয়!
স্বেচ্ছায় যারে দিয়েছিলাম ছেড়ে খাঁচা খুলে
মনেরই অগোচরে মন কেন এমন করে
তারই প্রত্যাবর্তনের পথ শুধু চেয়ে রয়!
যে পাখি ওড়ে অসীমে দিকচিহ্নহীন দ্বিধাহীন ডানায়
জানি সে আর ফেরেনা কোনোদিন খাঁচায়
যতই হোক না তা মুড়ানো মনি মুক্তায়
তবুও মন আনমনে অচেতনে প্রদীপ জ্বালায়
যদি সে পাখি ফেরে কোনোদিন সে আশায়।
ভাবি একবার যদি তারে পেতাম এ বুকের খাঁচায়
রাখতাম বড় যত্নে আগলে ভালোবাসায়।
কিন্তু আমিই তো দিয়েছিলাম মুক্তি তারে
এই কী স্বার্থত্যাগ?এই কী ছিল মহত্ত তবে?
মূলত নিঃস্বার্থ ত্যাগের মহিমা কখনো ভালোবাসায় হয় না।
মহত্ত্বের ছলানায় সেদিন নিজেরে শুধু দিয়েছিলাম বঞ্চনা।
জীবনে যে জন ভালোবাসে একবার যারে
তারে আর পারে না মুক্তি দিতে মন থেকে
আমৃত্যু চোখের জলে জ্বলে পুড়ে মরে
মনে রাখে আর শুধু ফিরে চায় তারে।