বদ্ধ বলেশ্বর
বড় বিষন্ন বদনে বহিছে – বিদীর্ণ, বীরপূর্ব বলেশ্বর
বখেড়া বাইশ, বক্ষে বেগহীন বেকল বজরা বহর।
বদ্ধ বারি, বন্ধ বাইচ; বিমরিষ বেশ, বাদাড় বাহারী
বর্ষিলে বরিষণ বেজায় বিব্রত বুক, বিবর্ণ বিদারী –
বাহিতে বহিত্র বাঞ্ছা বিমুখ, বিষম– বিমুগ্ধ বালক!
ব্যথিত বিহ্বল বিষদষ্ট, বালুকা বীচি বেবাক বাধক
বাবা বলেছিলেন বসিয়া বারেক,”বাদল বাড়িলে বাঁকে
বিকট বানে বিপর্যস্ত বিলোপ বাস্তুসহ ব্যক্তিও বুকে”।
বৎসর বারো বাদেও, বারংবার বরেণ্য ব্যাপারী-বণিক
ব্যবসা-বাণিজ্যে বৈঠা বাহিত, বাদাম বাধিত বর্ণিক;
বালক বয়সে বাহুল্য বাদরামী- বৎসরান্তে বুনেছি
বৈশাখী বালুতে বৈক্লব্য বন্ধুরা বহু বোয়াল বেঁধেছি।
বিপন্ন- –বিপুল, বিস্তীর্ণ-বিগত, বেহাল বদ্ধ বলেশ্বর
বেদনা বিদূর, বেগবানহীন বিদূষণ বেকার ব্যতিহার।
২৮/০৫/২০১৬খ্রি:
গরীবপুর।
অসীম বিশ্বাস মিলন
জন্ম: ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দ (শুক্রবার), বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার অন্তর্গত গরীবপুর গ্রামে। পিতা- স্বর্গীয় শ্রী মনোহর বিশ্বাস, মাতা- শ্রীমতী রাশি বিশ্বাস। সাত ভাই-বোন, পিতার ষষ্ঠ সন্তান। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা। লেখাপড়ার হাতেখড়ি গ্রাম্য পাঠশালায়। চরডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান শাখা হতে প্রথম বিভাগে এস. এস. সি. পাস; শেরে-বাংলা ডিগ্রি কলেজ, চিতলমারী থেকে ২০০১ খ্রিস্টাব্দে মানবিক শাখা হতে প্রথম বিভাগে এইচ. এস. সি. পাস। অতঃপর ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে সম্মান ডিগ্রি অর্জন ও ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর (সংস্কৃত) ডিগ্রি অর্জন। ফুটবল ক্রিকেট প্রিয় খেলা, বইপড়া নেশা। কবিতা, গান, নাটক, গল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদি লেখালেখি মনের ভালোলাগা।’অস্তগামী’- প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই। ’মিলনের ছোটগল্প’ – গল্পগ্রন্থ, ’কনীনিকা’- কাব্যগ্রন্থ, ’পুরাণ, ধর্ম ও দর্শনের উপলব্ধি থেকে’- প্রবন্ধগ্রন্থ ইত্যাদি তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের বই। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রীয় ব্যাংক সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, বাগেরহাট শাখায় কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োযিত আছেন।