”একই মুনাফেকী বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানী শাসকের” // শেখ বাতেন

শেখ বাতেন বাংলাদেশ

“গরুর জন্য মানুষ হত্যা সহ্য করা হবে না।” এ হলো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর হুসিয়ারী। কিন্ত মানুষ সেটা শুনবে কেনো? আপনার রাজনীতির আদর্শের শেকড় গেড়ে আছে ধর্মান্ধতায়, আর বাণী দেবেন আলোকিত? মানুষ শুনবে কেনো?

একই মুনাফেকী বাংলাদেশ ও পাকিস্তানী শাসকের। এই তিনটা দেশে লক্ষ কোটি মানুষের খাবার জোটে না, শরীরে পুষ্টি নেই যা কোটি জনতার চেহারায় খোলা চোখে এর ছাপ দেখা যায়। পশ্চিমা দেশগুলোর দান-খয়রাতের ওপর বেঁচে আছে এরা একশো বছর ধরে। ওদের কাছে থেকে অস্ত্রও কেনে। ধর্মবিশ্বাসের কারণে পরস্পরপরকে খতম করার জন্য।

ভারতে দেখেছি ২৪ ঘণ্টা ভারী অস্ত্র নিয়ে এক মাঝাারী মানের রেলস্টেশনের পাহারা দেয়। যদি পাকিস্তানীরা কিংবা মুলসমানেরা সেটা উডিয়ে দেয়! আমি বলছি না সেটা অমুলক। অঢেল অর্থ সৈন্যদের যোগান দিতে হয়, তবে সেটা পুরোটা না হলেও অনেকটা শাসকের কারুকাজ। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধাবস্তা না থাকলে পাকিস্তানের তাগড়া তাগড়া জেনারেলেরা বেকার হয়ে যাবে।

আমি পাকিস্তান দেখিনি, অন্য দুটো দেশে দেখেছি। হাজার অপুষ্ট শিশু জন্মায়। যারা বড় হয়েছে তারা জীবনের মানে খুঁজে পায় না। এই উপমহাদেশে মানবজন্ম ব্যর্থ হয়ে গেছে ধর্মীয় উন্মত্ততার কারণে। অন্ন বন্ত্র বাসস্থান কেনো সমস্যা নয়। সমস্যা হলো, তোরা গরু জবাই করিস কেনো, কিংবা তোরা মুর্তি পূজা করিস কেনো?

আমাদের কাছে পুব দিকে পবিত্র, তোদের কাছে পশ্চিম দিক কেনো? ইস্যুগুলো প্রায়শ এ জাতীয়। এসব কি একবিংশ শতাব্দীর মানব জীবনের ইস্যু? জীবনের মূল দাবী ছেড়ে দিয়ে এসব ইস্যু নিয়ে কি খাদ্য জুটবে তোর সন্তানের? বেঁচে থাকতে পারবি? বেঁচে আছে কি এই উপমহাদেশের মানব সন্তানেরা?

ভারতের গ্রামগুলোকে ঢুকলে বোঝা যায়, দারিদ্র কত তীব্র! শহরভর্তি অট্টালিকা আর হাজার মানুষের বস্তিঘর। মুম্বাই, ঢাকা, করাচী একই চিত্র সবখানে। শাসকেরা এটাই চায়। রাষ্টীয়ভাবে ধর্মীয় উস্কানি দেয়া হচ্ছে। বিদেশী শাসকের চেয়েও এরা অনেক বেশি ধূর্ত। মৌলিক প্রশ্ন উত্থাপন না করে এভাবে চলুক (?) কতোদিন চলবে, শাসকেরা কতোদিন চালাতে পারবে? তার ওপর নির্ভর করছে এখানে মানুষ মানুষ হয়ে উঠতে পারবে কিনা? তারপর হয়তো মুক্তির প্রশ্ন…


শেখ বাতেন