জন্ম: ১৬ জুলাই ১৯০৯ । । মৃতু্য: ২৯ জুলাই ১৯৯৬
ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজকর্মী। তিনি ছিলেন এক বাঙালী পরিবারের মেয়ে। জন্মগত নাম ছিল অরুণা গাঙ্গুলী। পিতার নাম উপেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলী, সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মীয়। অরুণা আসফ আলীর জন্ম পাঞ্জাব প্ৰদেশের কালকা নামক এক গাঁয়ে।
উপেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলী বাংলাদেশের বরিশাল হতে গিয়ে পাঞ্জাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের পরিবারটি ব্ৰাহ্ম ধৰ্মে বিশ্বাসী ছিল। ১৯২৮ সালে তিনি মুক্তি সংগ্ৰামী, দেশকৰ্মী আসফ আলীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
অরুণা আসফ আলী ছিলেন ভারতের মুক্তি সংগ্ৰামের একজন পুরোধা। তিনি লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে জড়িত হন। বিয়াল্লিশের ভারত ছাড়ো আন্দোলনে তিনি সক্ৰিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। অরুণা আসফ আলী ৯ আগষ্ট মুম্বাই গোয়ালিয়া টেংক ময়দানে ইউনিয়ন জেক নামিয়ে এনে তার জায়গায় ত্রিরঙা পতাকা উড়িয়ে সংগ্ৰামী সকলের মাঝে উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলেন। তাঁকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্ৰামে কয়েকবার জেলে যেতে হয়েছিল।
পরে তিনি কংগ্ৰেসের প্ৰতি আস্থা হারিয়ে জাতীয় কংগ্ৰেস ত্যাগ করে সোসিয়ালিস্ট দলে যোগদান করেন। ভারত স্বাধীনতা লাভ করার পর, তিনি গরীব জনসাধারণের সাথে মিলে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করেন।
১৯৯৭ সালে ভারত সরকার তাঁকে দেশের সৰ্ব্বোচ্চ সম্মান ভারত-রত্ন উপাধিতে সম্মানিত করে। ১৯৬৪ সালে তাকে আন্তঃরাষ্ট্ৰীয় লেনিন শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সমাজে প্ৰগতি আর শান্তির চেষ্টার কারণে ১৯৫৫ সালে সোভিয়েট দেশ তাকে নেহরু পুরস্কারে সম্মানিত করে। তিনি দিল্লী মহানগরের প্ৰথম মহিলা মেয়র ছিলেন। তিনি জাতীয় মহিলা ফেডারেশনের সভানেত্ৰীও ছিলেন।