আস্তিকতা সমস্যা নয়, সমস্যা প্রচার। ঈশ্বর সমস্যা নয়, সমস্যা ঈশ্বর তত্ত্বে; তেমনি নাস্তিকতাও কোন সমস্যা নয়, সমস্যা নাস্তিকতাকে আস্তিকতার বিপরীত তত্ত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়া। বিষয়টি এত সহজ নয়, সহজ সমাধানও নেই। তাহলে এত সহজ ব্যাখ্যা দাঁড় করানো কেন? ‘ঈশ্বর নেই’ বলে যদি আপনার এবং জনগণের কোন লাভ না হয় তাহলে তা বলতে হবে কেন? আপনি বলবেন, বলার স্বাধীনতা থাকবে না কেন? আমি আপনার সাথে একমত যে, কেউ কিছু যৌক্তিকভাবে বলতে চাইলে তা বলার সুযোগ থাকবে না কেন। সুযোগ নেই -এটি তো স্পষ্ট। তাহলে প্রথম কাজ বলা নয়, বলার সুযোগ তৈরি করা। প্রথমে একটি যুক্তিনির্ভর সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে, তারপর জনগণ প্রস্তুত হলে আস্তিকতা নাস্তিকতা নিয়ে সব কথা বলা যাবে। এখন তো জনগণ প্রস্তুত নয়, এক ধাপ ডিঙিয়ে গেলে সমস্যা তো হবেই।
অফিসের দরজায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যে দারোয়ান গেট খোলে আর বন্ধ করে তাকে ঈশ্বর নেই বলবেন আপনি কোন সাহসে? ঈশ্বর না থাকলে তার আর থাকে কী? আগে ‘ঐ দারোয়ানকে’ মুক্ত করুণ, তারপরে বলুন ঈশ্বর আছে কি নেই।
দিব্যেন্দু দ্বীপ