ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক কামাল লোহানীর মৃত্যুতে নির্মূল কমিটির শোক প্রকাশ

Kamal Lohani
শেখ মুজিব এবং কামাল লোহানী
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আবু নাইম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। ছবিঃ বাঙ্গালীয়ানা

বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজ (২০ জুন) সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক শোক বিবৃতিতে বলা হয়— ‘দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভাষাসৈনিক, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কামাল লোহানীর মৃত্যুতে আমরা অত্যন্ত শোকাহত।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে আরম্ভ করে পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রবল সাংস্কৃতিক আন্দোলনে এবং মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ, স্বৈরাচার, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সকল নাগরিক আন্দোলনের একজন পুরোগামী নেতা ছিলেন তিনি। ১৯৯২ সালে শহীদজননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে সূচিত ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ার আন্দোলনে তিনি ছিলেন অকুতোভয় এক বলিষ্ঠ কণ্ঠ। ১৯৯৪ সালে জাহানারা ইমামের মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে প্রামাণ্য গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন তিনি।

‘সহযোদ্ধা কামাল লোহানীর মৃত্যুতে বাংলাদেশের প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে যে বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবে না। নির্মূল কমিটির তরুণ নেতা কর্মীদের জন্য তিনি আদর্শবাদিতা ও আপোষহীনতার এক উজ্জ্বল বাতিঘর হিসেবে সব সময় অফুরন্ত প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। ‘আমরা সহযোদ্ধা কামাল লোহানীর মৃত্যুতে গভীরতম শোক প্রকাশের পাশাপাশি তাঁর পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যবৃন্দ এবং অগণিত সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।

স্বাক্ষরদাতা—

বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হক, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা পান্না কায়সার, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, ক্যাপ্টেন আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, ক্যাপ্টেন আকরাম আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), ডাঃ আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক আবুল বারক আলভী, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, ড. ফরিদা মজিদ, এডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নান, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভূঁইয়া, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, ডাঃ মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, সমাজকর্মী সরদার জাকির হোসেন খসরু, ডাঃ নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট দীপক ঘোষ, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বীর খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, কবি দিব্যেন্দু দ্বীপ, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট কাজী মানসুরুল হক খসরু, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সমাজকর্মী পূর্ণিমা রাণী শীল, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল প্রমুখ।