Headlines

কোমল গান্ধার

1
কোমল গান্ধারের সম্পাদক-প্রকাশক ছিলেন রেজাউল করিম সিদ্দিকী। এই ছোটকাগজ ছিল তাঁর ছাত্রছাত্রীদের লেখার প্ল্যাটফর্ম। কাগজটির সব খরচ তিনিই বহন করতেন।

কোমল গান্ধারের প্রথম সংখ্যাটি বেরিয়েছিল ২০০৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবসে। এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ লেখকদের প্ল্যাটফর্ম। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত লেখকদেরও লেখা প্রকাশিত হয়েছে। গেল ৯ বছরে কোমল গান্ধারের সাতটি সংখ্যা বেরিয়েছে। সর্বশেষ সংখ্যাটি প্রকাশিত হয় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। সর্বশেষ সংখ্যায় কবিতা আছে ১২টি, গল্প চারটি, বাস্তব অভিজ্ঞতা বা ভ্রমণ-বৃত্তান্ত আছে দুইটি, জীবনীমূলক একটি লেখাসহ আছে একটি চলচ্চিত্র পরিচিতি।

কাগজটির তিনিই ছিলেন সম্পাদক-প্রকাশক। আর ছাত্রছাত্রীরা ছিলেন তাঁর লেখক, সহযোগী। সর্বশেষ সংখ্যায় ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের নাহিদ ইসলাম সম্পাদনা সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি জানালেন, ‘কোমল গান্ধারের আগের সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছিল প্রায় তিন বছর আগে। আর এই সংখ্যাটি ছাপা হয়েছে ইংরেজি বিভাগের রি-ইউনিয়ন ও অ্যালামনাইকে কেন্দ্র করে। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এবারের সংখ্যার কাজ করতে হয়েছে। নিজের হাতে নোটিশ তৈরি করে বিভাগের নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দিয়েছিলেন স্যার। সেখানে লেখা আহ্বান করেছিলেন। নিজের হাতে কোমল গান্ধার নামটি লিখেছিলেন। তবে বরাবরের মতো এই সংখ্যায়ও কোনো বিজ্ঞাপন নেননি। সব খরচ নিজেই বহন করতেন। এটির ব্যাপারে তিনি এতই নিবেদিত ছিলেন যে শেষের দিনগুলোতে নাওয়া-খাওয়া ভুলে একেবারে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতেন।’ নাহিদের মনে আছে, যখন এই সংখ্যার কাজ চলছিল, তার নিজের বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। বাড়িতে সামান্য সময় থেকেই রুমে চলে আসতেন। ছাত্রছাত্রীদের খেতে পাঠিয়ে দিতেন। নিজে লেখা বাছাই এবং সম্পাদনা নিয়ে বসতেন। এত কষ্ট করলেও কোনো দিন কারো ওপর জোর করে কোনো কাজ চাপিয়ে দেননি। কাউকে জোর করে কোথাও কোনো পত্রিকা বিক্রি করতে নিষেধ করতেন। ক্যাম্পাসের সাহিত্যমেলা ‘চিহ্নমেলা-বিশ্ববাংলা’য় স্টল দিয়েছিলেন। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের মতো নিজেও কোমল গান্ধার বিক্রি করতেন।