বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাধবপুর বাজারে হত্যা মামলার এক আসামীর নেতৃত্বে প্রকাশ্যে ৪ সংখ্যালঘু মহিলাকে বিবস্ত্র করে পেটানো হয়েছে। এসময় সংখ্যালঘু পরিবারে ৬টি দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আল আমিন নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। জানাগেছে, ওই ইউনিয়নের সাবপুরা বাজার এলাকায় সঞ্জিব চন্দ্র ওঝাদের সাথে প্রতিবেশি ছালাম হাওলাদার গংদের জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ সংক্রান্ত একটি মামলা কোটে বিচারাধীন রয়েছে। বাজারের প্রধান সড়কের পাশে সঞ্জিব চন্দ্র ওঝা ও তার অপর দুই ভাই শংকর চন্দ্র ও বঙ্কিম চন্দ্র ওঝার ৬টি দোকান ঘর রয়েছে। যা ভাড়া দেয়া হয়েছে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছালাম হাওলাদার তার ভাই কালাম ও আলমগীরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ভাড়া দেয়া ওইসব দোকান ঘরগুলো দখল করতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় বাধা দেয়ায় সন্ত্রাসীরা সুখ রঞ্জন, ফারুক মোল্লা, শংকর সমাজপতি, বঙ্কিম চন্দ্র, সঞ্জিব চন্দ, শংকর চন্দ্র ওঝা ও পবিত্র চন্দ্র ওঝাকে পিটিয়ে জখম করে।
এ খবর পেয়ে বাড়ি থেকে বঙ্কিম চন্দ্রের মা মঞ্জু রানী (৪৭), স্ত্রী শোলেকা রানী (২৬), গৌতম চন্দ্রের স্ত্রী দ্বিভা রানী (৪২) ও পবিত্র চন্দ্রের স্ত্রী রেভা রানী (২২) ঘটনাস্থলে ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে পিটিয়েছে। এসময় স্থানীয় লোকজন ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। এ ঘটনায় ১১ জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে বঙ্কিম ওঝা ও মঞ্জু রানীকে আশংকাজনক অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই রাতেই আলআমিন (২৫) নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। উল্লেখ এ হামলার নেত্বত্বে থাকা ছালাম হাওলাদার আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আশ্রাব ফকির হত্যা মামলার ৩৯ নম্বর আসামী। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।