বাংলাদেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে গলা কেটে হত্যার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে কথিত ইসলামিক স্টেট।
কিছু সময় আগে জঙ্গী সংগঠনগুলোর তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট এস আই টি ই (সাইট) -এ এক টুইটার বার্তায় বলা হয় – ইসলামিক স্টেট এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে তাদের বার্তা সংস্থা এ্যামাক খবর দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে তার বাড়ির কাছেই আজ সকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ সামসুদ্দিন জানিয়েছেন বোয়ালিয়া থানার শালবাগান এলাকার বাড়ি থেকে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ বলছে, সম্প্রতি ব্লগারদের হত্যার একাধিক ঘটনার সাথে এই হত্যাকাণ্ডের মিল রয়েছে।
মি: সামসুদ্দিন বলছেন, “তার গলায় আঘাত এবং আক্রমণের ধরন দেখে অতীতে যেভাবে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তার সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে। তাই উগ্রপন্থী কোন সংগঠন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে এমন ধারনা মাথায় রেখে কাজ করছি আমরা।”
তিনি বলেছেন তার কোনো ব্যক্তিগত শত্রু ছিল বলে তারা কোনো তথ্য পান নি এবং ধর্ম নিয়ে তিনি কোনো লেখালেখি করেছেন এমন কোনো প্রমাণও তারা এখনও পান নি।
আই এস এই হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে সাইট খবর দিলেও বাংলাদেশ সবসময় দেশটিতে ইসলামিক স্টেটের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করে।
জানা গেছে, নিহত অধ্যাপক সিদ্দিকী একজন সংস্কৃতিপ্রেমী ব্যক্তি ছিলেন এবং শিক্ষকতার পাশাপাশি একাধিক স্থানে সঙ্গীত বিদ্যালয় চালাতেন।
তিনি রাজশাহীতে একটি সাংস্কৃতিক জোট গড়ে তুলেছিলেন এবং নিজের এলাকায় একটি সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে তার সহকর্মী জানাচ্ছেন।
তিনি নিজেও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজাতেন।
এনিয়ে গত দশ বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
আজ রাজশাহী শহরে এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে কয়েকশ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বিক্ষোভ করেছে।