কেউ যদি কৃষকের আত্মহত্যার খবর সম্পর্কে গণমাধ্যমে খোঁজ নেন তাহলে প্রথমেই দেখবেন মারথওয়াড্ডা অঞ্চলের নাম। ভারতের মহারাষ্ট্রের এ অঞ্চলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে কৃষকের আত্মহত্যার মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা। শুধুমাত্র গত দশ বছরে এখানে দশ গুণের থেকেও বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেছে।
মারথওয়াড্ডা অঞ্চলকে বলা হয় কৃষকের আত্মহত্যার গ্রাম। তবে আত্মহত্যাকারী কৃষকদের অধিকাংশই মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা ও ছত্তিশগড়ের হলেও মারথওয়াড্ডা অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি কৃষক আত্মহত্যা করে।
পরিসংখ্যানও তাই বলছে। ২০০৩ সালে মারথওয়াড্ডায় ১৪ জন কৃষক আত্মহত্যা করে। ২০১৩ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০৭ জনে। প্রতি বছরই বাড়তে থাকে কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা। ২০১৪ সালে সেখানে হাজারেরও বেশি কৃষক আত্মহত্যা করে। সবশেষ এ বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ৮৯ জন কৃষকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
ভারতের কৃষক আত্মহত্যার ৩৪ শতাংশ ঘটনা ঘটে মহারাষ্ট্রের মারথওয়াড্ডা অঞ্চলে। ২০১৫ সালে ভারতে প্রায় ৩ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করে। এর মধ্যে ১ হাজার ২৪ জন কৃষক আত্মহত্যা করে মারথওয়াড্ডাতে।
ভারতে কৃষকদের আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত ২০ বছরে দেশটিতে আত্মহত্যা করেছে ৩ লাখ কৃষক। ন্যাশনাল ক্রইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) ‘ভারতে ২০১৪ সালে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ও আত্মহত্যা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আত্মহত্যাকারী কৃষকদের ৬৫.৭৫ শতাংশই ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সের।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া, অসুস্থতা, ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করতে না পারা, পারিবারিক কলহ এসবই আত্মহত্যার মূল কারণ।