ফেসবুক মেসেঞ্জারে অনেক সুবিধা

follow-upnews
0 0

1

ফেসবুক মেসেঞ্জার এমন একটি অ্যাপ যা প্রতিদিন প্রায় সবাই ব্যবহার করেন। এই অ্যাপটিকে ক্রমান্বয়ে এতোটাই কার্যক্ষম করে তোলা হচ্ছে যে ব্যবহারকারীরা মেসেঞ্জার দিয়েই অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং মজার সব কাজ করতে পারেন।

মেসেঞ্জার ব্যবহারের কিছু কৌশল জানা থাকলে খুব সহজেই অনেক কাজ করা যায়। আসুন দেখে নিই মেসেঞ্জারের সেরকম কয়েকটি কৌশল-

১. ফেসবুক মেসেঞ্জার শুধু টেক্সট মেসেজের জন্য নয়। এটা আপনি হয়তোবা লক্ষ্য নাও করতে পারেন। এর সাহায্যে খুব সহজেই ভয়েস এবং ভিডিও কল করা যায়। চ্যাটের ওপরের দিকের নির্দিষ্ট বাটন ব্যবহার করে আপনি এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

এ ছাড়াও এটা দিয়ে আপনি যখন ইচ্ছা তখন ভয়েস মেসেজের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। সেজন্য যেকোনও সময় যে কাউকে মেসেজ পাঠিয়ে রাখুন। পরবর্তীতে আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি মেসেজটি শুনে নেবে।

২. যদি আপনি কখনও বন্ধুদের আপনার অবস্থান সম্পর্কে জানাতে চান তাহলে সে কাজটি মেসেঞ্জারের মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারবেন। এটা করতে হলে প্রথমেই তার সাথে চ্যাটে চলে যান। তারপর সেখান থেকে তিনটা ডট চিহ্নে চাপ দিয়ে ধরে রাখুন। এরপর কতগুলো অপশন আসবে। সেখান থেকে ‘লোকেশন’ সিলেক্ট করুন। এটা করার পরই আপনার বন্ধু আপনার যথাযথ অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবে।

৩. আপনার এমন কিছু খুব কাছের বন্ধু থাকতে পারে যাদের আপনি বিশেষ নামে ডাকেন। ফেসবুকের প্রকৃত নামের সঙ্গে সেই নামের কোনও মিলই নেই। সেক্ষেত্রে আপনার সেই বিশেষ নামটি ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছে মেসেঞ্জার। সেজন্য আপনাকে মেসেঞ্জারের ‘নিকনেম’ অপশনে গিয়ে নামটি পরিবর্তন করতে হবে।

৪. আপনি যদি দাবা খেলায় কাউকে চ্যালেঞ্জ করতে চান তাহলে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে করতে পারবেন। এজন্য যাকে চ্যালেঞ্জ করতে চান তার চ্যাটে গিয়ে শুধু টাইপ করুন @fbchess। এই খেলায় আপনাকে মুভ করতে হবে ম্যানুয়াল প্রক্রিয়ায়। এক্ষেত্রে আপনার যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে সাহায্যের জন্য @fbchess help টাইপ করুন।

৫. ফেসবুক মেসেঞ্জার আপনার জন্য রেখেছে অনেক স্টিকার এবং ইমোজির ব্যবস্থা। এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দমতো স্টিকার-ইমোজি ব্যবহার করতে পারবেন।

৬. পৃথিবীর বিভিন্ন এয়ারলাইনস গ্রাহকদের ফ্লাইটের আপডেট জানায় ফেসবুক মেসেঞ্জারের সাহায্যে। এছাড়া বিমানবন্দরে গ্রাহকরা মেসেঞ্জারকে বোর্ডিং পাস হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। যদিও এই সুবিধা বাংলাদেশে এখনও চালু হয়নি।

৭. বর্তমানে ফেসবুক মেসেঞ্জারের সাহায্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টাকা পরিশোধ করা যায়। সেজন্য তিনটি ডটে চাপ দিয়ে ধরে সেখান থেকে ‘পেমেন্টস’ অপশন সিলেক্ট করলেই হয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে অদূর ভবিষ্যতে সুবিধা হয়তো পাওয়া যেতে পারে।

৮. চার-পাঁচ জন কিংবা তার চেয়ে বেশি মানুষ মিলে একটি কাজ করতে যাচ্ছেন। সবার সঙ্গে কথা বলতে হয় নিয়মিত। সেজন্য সবার সঙ্গে আলাদা-আলাদাভাবে কথা বলার চেয়ে একটি গ্রুপ চ্যাট চালু করতে পারেন। যেখানে সবাই মিলে একইসঙ্গে আলোচনা করা সম্ভব। আর এটা করলে কেউ-ই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকে বঞ্চিত হয় না।

৯. আপনি একটি গ্রুপ চ্যাটে ছিলেন। কিন্তু এখন আর সেখানে আপনার কাজ নেই। বাকিরা সেটাতে তাদের কাজের জন্য নিয়মিত মেসেজ আদান-প্রদান করে। আর সেই নোটিফিকেশন বার বার আপনার কাছে আসে। বিষয়টি আপনার কাছে খুবই পীড়াদায়ক হতে পারে।

এ সমস্যা থেকে বাঁচতে আপনি পুরো গ্রুপ চ্যাটটিকে মিউট করে রাখতে পারেন। এই মিউট আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যও করতে পারবেন। যেমন- ১৫ মিনিট, ১ ঘণ্টা, ৮ ঘণ্টা এবং ২৪ ঘণ্টার জন্য। এছাড়াও “Until I turn it back on” এই অপশনের সাহায্যে আপনি গ্রুপ চ্যাট মিউট করতে পারবেন।

১০. চ্যাটের রঙ কারও কাছে নাও পছন্দ হতে পারে। সেজন্য অবশ্য চিন্তার কিছু নেই। কারণ ব্যবহারকারী চাইলেই সেই রঙ পরিবর্তন করতে পারবেন। রঙ পরিবর্তন করার জন্য ‘কালার’ অপশনে গিয়ে পছন্দমতো রঙ সিলেক্ট করা যাবে।

১১. বাই ডিফল্ট আপনি শুধু পরিচিতদেরই মেসেজ দেখতে পারেন। কিন্তু হঠাৎ অপরিচিত কারও কাছ থেকে মেসেজ আসতেই পারে। আর সেটা দেখতে হলে আপনাকে ‘সেটিংস’ অপশনের ‘পিপল’ থেকে ‘মেসেজ রিকোয়েস্ট’ অপশনে যেতে হবে।

Next Post

চাইলাম ট্যায়া করলেন দোয়া!

চাইলাম ট্যায়া করলেন দোয়া! ক্ষিধে লাগছে, অহন কি এই দোয়া খায়া যাইবো? শোন, উপরের দিক তাকায়ে তিনবার নিঃশ্বাস নে, এইবার হরি বল, হরে কৃষ্ণ বল… মানে? আমি কি হিন্দু নাকি? গলায় কী একটা মালা দ্যাখতাছি, এর লাগে ভাবছিলাম তুই হিন্দু। না, এই মালাডা দরবেশে দেছে। শালা, বেশরিয়তে কাজ করোস তোরা! […]