মঠবাড়িয়ার ধানিসাফা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে উদ্ভুত ঘটনায় আইন শৃংখলা বাহিনীর গুলিতে পাঁচ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতরা হলেন পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার হরিণপালা গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ছেলে শাহাদাত (৩৫) ও সাইদুল মৃধার ছেলে কামরুল (২৫), মঠবাড়িয়ার বুড়িরচরের ফজলুল হক ছেলে সোহেল (২৬) ও গফুর মোল্লার ছেলে বেল্লাল (৩০), লঞ্চঘাট, বুড়িরচরের আনু তালুকদারের ছেলে সোলেমান (২৫)। শেষের দু’জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানোর পথে তাদের মৃত্যু হয়।
এছাড়া ধানিসাফার মনছের হকের ছেলে ইয়াসিন (২২) ও মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মনছুর, মৃত কাশেম আলী হাওলাদারের ছেলে মোঃ ইউনুস ও মৃত ডাঃ শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে মোঃ সুমন হাওলাদারসহ অজ্ঞাত আহতদের বরিশাল, ভান্ডারিয়া ও তুষখালীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ধানিসাফা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশীদের ৭৪৬টি ব্যালট বাতিল ঘোষনাকে কেন্দ্র করে তার কর্মী-সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ খবরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী জিয়াউল বাসেতের নেতৃত্বে র্যাব ও বিজিবি সেখানে উপস্থিত হয়। তখন জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, উক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী হরিণপালা এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তি তথা ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও জনপ্রতিনিধির আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় হরিণপালারও বেশ কিছু লোক ওই ঘেরাওয়ে অংশ নেয়। তবে নিহত এক হরিণপালা বাসীর চাচা পরিচয়ধারী এক ব্যক্তি ইত্তেফাককে বলেন, তেলিখালী ইউনিয়নের গোলবুনিয়া ভোট কেন্দ্র থেকে তারা হরিণপালায় ফিরছিলেন। সে এলাকার নিহত ও আহতরা পথচারী বলে তিনি দাবী করেন।
এ ঘটনার পর মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, গুলিতে ছয় জন নিহত হয়েছে। তবে মঠবাড়িয়ার থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান পাঁচ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন। পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ ওয়ালিদ হোসেন ইত্তেফাকের কাছে এ ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন।