স্কুল পালিয়ে হাজার কোটিপতি

Mark zuckerberg

আপনি কি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন? ভাবছেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাবে আপনার কোনো উন্নতি সম্ভব নয়। আপানার চারপাশের মানুষগুলোকে সবসময় আপনাকে হয় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, বড় ডিগ্রি ছাড়া সফল হওয়া সম্ভব নয়। আপনি কি হতাস হয়ে পড়ছেন? স্বপ্ন থেকে ক্রমাগতভাবে দূরে সরে যাচ্ছেন? নিচের লেখাটি আপনার জন্য। জেনে নিন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় ব্যর্থ কিছু সফল মানুষদের কথা।

আপনি জানেন কি পৃথিবীর বেশীরভাগ বিলিওনিয়ার হচ্ছেন স্কুল অথবা কলেজ পালানো ছেলে-মেয়েরা?

“শিক্ষার বিরুদ্ধে একটি বাক্যও আমার বলার নেই। কিন্তু এটা সত্য যে শিক্ষা মাঝে মাঝে মানুষকে মিথ্যা অহমিকার দিকে ঠেলে দেয়। শিক্ষা মানুষকে এই ভাবিয়ে নিশ্চিন্ত করে যে শুধু অর্জিত সার্টিফিকেট তাকে সফল করে দেবে, ফলে শিক্ষিত মানুষ অনেক সময়ই কঠোর পরিশ্রমে আত্মনিয়োগ করে না।”

– রাসাক ওকয়া ।

পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে, স্বশিক্ষা এবং পরিশ্রমের সমন্বয় ঘটিয়ে স্বপ্ন পূরণ করেছেন; তাদের নিয়ে আজকের এই লেখা।

“আমি স্কুলের চার দেওয়ালের মধ্যে ছিলাম এবং আমি পথেও ছিলাম। নিশ্চিত করে আমি আপনাকে বলছি, পথের জীবন কঠিন, ঝঞ্জাময়, ভয়ঙ্কর, উত্তেজনাকর এবং অনেক বেশী পরিপূর্ণ। স্কুলে আপনি একা খেলতে পারেন, পথে আপনাকে খেলতে হবে আপনার চেয়ে বড়দের মোকাবেলা করে।”

– আজেরও টনি মারতিন।

ওয়ারেন বাফেট, মোঃ ইব্রাহীম, মাইক এডেনুগা, অপ্রাহ উইনফ্রে, জর্জ সরস, জন ডি রকফেলার, সাম ওয়ালটন, জেরি ইয়াং এবং ডেভিড ফিলো, অনিতা রদিক, সেরগেই ব্রিন এবং ল্যারি পেজ, জেফ বেজোস, পিয়েরে অমিদ্যার, মারথা স্তুআর্ট, হেনরি রোস পেরট এবং এলিকো ডাঙ্গতে —এদের নাম এই তালিকাতা রাখা হয়নি যদিও তারা পথে পথে কষ্ট করে শূন্য থেকে শীর্ষে গিয়েছেন। আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেব এমন কিছু মানুষের সাথে যারা স্কুল থেকে ঝরে পড়েছিলেন জীবনের শুরুতেই, তারপর নিজেরাই হয়ে উঠেছেন শিক্ষার এক একটি নতুন ক্ষেত্র।

“প্রত্যেকটি সমস্যার পিছনে একটি করে সুযোগ আছে, আপনি যদি শুধু সমস্যা নিয়ে চিন্তা করতে থাকেন, তাহলে সুযোগটি আপনি হারাবেন।”

আজেরও টনি মারতিন।

বিল গেটস
বিল গেটস: দরিদ্র হয়ে জন্মানো তোমার ভুল নয়, কিন্তু তুমি দরিদ্র হিসেবে মারা যেতে পারো না। 
স্তিভ জবস
স্তিভ জবস: তোমার জন্য বরাদ্দ সময় খুবই কম, অতএব তুমি অন্যের জীবনযাপন করে সময় নষ্ট করতে পারো ন। প্রচলিত ধ্যান ধারণার ফাঁদের পড়ে যাইও না, এটা ঘটে অন্যেদের চিন্তা-ভাবনা দ্বারা প্ররোচিত হবার ফলে। অন্যের মতামতগুলি নিজের মধ্যে অন্তর্নিহীত হতে দিও না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, নিজের মন এবং মস্তিষ্ক অনুসরণ করা। তোমার নিজের মন জানে তুমি কী হতে চাও, এটাই তোমার প্রাথমিক চাওয়া, অন্যসব কিছু পাশ্ববর্তী।
মার্ক জাকারবারগ
মার্ক জাকারবারগ: মানুষের জন্য শেয়ার করার সুয়োগ তৈরি করে দিয়ে আমরা পৃথিবীকে আরো স্বচ্ছ করে তুলছি।

স্তিভ জবস, বিল গেটস, ল্যারি এলিসন, মার্ক জুকারবারগ, মিখেল ডেল; প্রমুখের নাম নিশ্চয় খুব পরিচিত, আমরা হয়ত অনেকেই জানি না তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অধ্যায়। কেউই তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করেননি, কিন্তু নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন।

ছবি এবং তথ্যসূত্র: বিভিন্ন ওয়েবসাইট অবলম্বনে।