প্রথম আলো লিখেছে–
ভোট শুরুর আড়াই ঘণ্টা পর প্রথম ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
জামায়াতের প্রার্থীর বক্তব্য গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছে প্রথম আলো–
মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেন, ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া, দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনাগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি ভোট বর্জন করছেন। তিনি বলেন, অবৈধ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচন বৈধ করতে তিনি রাজি নন।
ফরিদপুর-২ আসন নিয়ে প্রথম আলো লিখেছে শুধু বিএনপি প্রার্থীর বক্তব্য–
একই সময়ে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-শালথা) আসনে বিএনপির প্রার্থী শামা ওবায়েদ ইসলাম নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ওই আসনের ১২৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০০টি কেন্দ্রে গতকাল শনিবার রাতেই ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে যেসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, সেসব কেন্দ্রে বিএনপির কোনো পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে নিজেও ভোট দেননি শামা ওবায়েদ ইসলাম। ওই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
ঢাকা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলাম ভোট জালিয়াতির অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন। আজ দুপুর ১২টায় নবাবগঞ্জ উপজেলার কামারখোলায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রয়েছেন সালমান এফ রহমান।
ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাগেরহাট-৩ আসনে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ ও বাগেরহাট-৪ আসনে জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য মো. আবদুল আলীম বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ভোট বর্জন করেন। বাগেরহাট-৩ আসনে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের স্ত্রী হাবিবুন নাহার আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আর বাগেরহাট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী আমির এজাজ খান, খুলনা-৩ আসনে রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আসনের আজীজুল বারী হেলাল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁরা তিনজনই বিএনপির প্রার্থী। খুলনা-১ আসনে পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-৩ আসনে মুন্নুজান সুফিয়ান এবং খুলনা-৪ আসনে আবদুস সালাম মুর্শেদী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এভাবে তারা (প্রথম আলো) বিএনপি (জামায়াত) প্রার্থীদের ভোট বর্জনের কথা গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেছে, কিন্তু কোথাও ঐসব আসনের ভোট গ্রহণের চিত্র এবং জনতার কোনো বক্তব্য নেই।
প্রশ্ন উঠেছে আট প্রার্থীর মধ্যে কেন তারা (প্রথম আলো) শুধু দুজন মহিলা প্রার্থী দিয়ে ট্রল করল? এই আট প্রার্থীর মধ্যে চারজনই তো আবার জামায়াত!
অন্য পত্রিকাগুলো ভোট বর্জনের খবর ছেপেছে তবে প্রথম আলোর মতো এভাবে কেউ ট্রল করেনি দুজন নারী প্রার্থীর ছবি দিয়ে। যেমন নিচের এই ট্রলটি করেছে বাংলা নিউজ নামে একটি পত্রিকা।