বিষয়টিতে প্রথম আলো অথবা অন্য দুটি গণমাধ্যমের সুক্ষ্ম কারচুপি রয়েছে বলে বিশ্লেষণে উঠে এসেছে। প্রথম আলো তাদের নিউজের সাথে এমন একটি ছবি দিয়েছে যেটির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর আবেগঘন সাক্ষাতের বিষয়টি আড়াল হয়েছে। অধিকাংশ পত্রিকার ছবিতে প্রধানমন্ত্রী মাকস খুলে খুব আন্তরিকভাবে কথা বলছেন, কিন্তু প্রথম আলো এমন সময়ের এমন একটি ছবি দিয়েছেন যেটিতে প্রধানমন্ত্রী মাকস পরা।
নিচের প্রথম ছবিটি দেখুন (বিডি নিউজের সৌজন্যে), দেখা যাচ্ছে সৈয়দ শামসুল হকের বিছানার পাশে বসে খুব আন্তরিকভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলছেন। দ্বিতীয় ছবিটি দেখুন (প্রথম আলো ব্যবহার করেছে ফোকাস বাংলার সৌজন্যে, তাদের দাবী), এটি স্পষ্ট যে ছবিটি হয় কথা বলে উঠে যাওয়ার সময় তোলা, অথবা পাশে বসার পূর্ব মুহূর্তের।
গণমাধ্যম বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গীর পার্থক্যের কারণে কে কোন ছবি ব্যবহার করবে সেখানে পার্থক্য তৈরি হতে পারে, কিন্তু একই ছবি ভিন্ন ভিন্ন গণমাধ্যম ভিন্ন ভিন্ন প্রাপ্তি স্বীকারে ব্যবহার করলে পাঠক বিভ্রান্ত হয়, এবং তখন পার্থক্য শুধু দৃষ্টিভঙ্গীর বিষয় হয়ে থাকে না, বিষয়টিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে হয়। প্রথম আলো, এনটিভি এবং নয়াদিগন্ত -এই তিনটি গণমাধ্যমের মধ্যে যে কোনো দুটি অথবা তিনটিই ছবিটি ব্যবহারে কারচুপি করেছে বলে বিশ্লেষণে ধরা পড়েছে, কারণ হুবহু একই ছবির প্রাপ্তি তো একই উৎস থেকে হওয়ার কথা, কিন্তু গণমাধ্যম তিনটি ছবিটি ব্যবহার করেছে ক্যাপশনে ভিন্ন ভিন্ন উৎসের বরাত দিয়ে।
বিডি নিউজ তাদের রিপোর্টে এই ছবিটি ব্যবহার করেছে।
প্রথম অালোর নিউজ লিংক
প্রথম আলোর মত দৈনিক নয়া দিগন্তও একই ছবি ব্যবহার করেছে। এনটিভিও এই একই ছবি ব্যবহার করেছে।
তবে এক্ষেত্রে সুস্পষ্টভাবে একটি গণ্ডগোল তৈরি হয়েছে। এনটিভি (অনলাইন) তাদের ছবির নিচে লিখেছে, ছবি: এনটিভি। কিন্তু এই একই ছবি ব্যবহার করে নিচে প্রথম আলো লিখেছে, ছবি: ফোকাস বাংলা। নয়াদিগন্ত একই ছবিতে একটি ক্যাপশন দিয়ে লিখেছে, ‘পিআইডি’।
বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার জন্য এখানে আরো কয়েকটি পত্রিকার ছবি দেওয়া হল যা তারা সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে ব্যবহার করেছে।
বিষয়টি স্পষ্ট যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য বাদ দিলেও এখানে কারচুপি রয়েছে, না হলে একই ছবি এনটিভি (অনলাইন), দৈনিক প্রথম অালো এবং নয়াদিগন্ত পত্রিকায় ভিন্ন প্রাপ্তি স্বীকারে ব্যবহৃত হবে কেন? প্রথম আলো, এনটিভি, নয়াদিগন্ত -এগুলো দেশের প্রভাবশালী গণমাধ্যম, তাদের উচিৎ বিষয়টি পরিষ্কার করা। ছবিটি আসলে কার স্বত্ত্বাধিকার সেটি জানার অধিকার পাঠকের রয়েছে।
#ফলোআপ নিউজ সম্পাদনা পরিষদ।