জনপ্রশাসন পদক পেলেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা

কবি
জনপ্রশাসন পদক প্রদান করায় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

জনপ্রশাসন পদক পেয়েছেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) শাহিদা সুলতানা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের ঘর প্রদান কর্মসূচি সফলতা এবং সৃজনশীলতার সঙ্গে বাস্তবায়নের পাশাপাশি করোনা অতিমারি পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং নিম্নআয়ের প্রান্তিক মানুষদের সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে নিজেকে একজন মানবিক মানুষ এবং দক্ষ প্রশাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন তিনি।

গোপালগঞ্জ

পরিবার পরিচিতি কার্ড তৈরি করা এবং সেই কার্ড অনুযায়ী সরকারি সাহায্য-সহযোগীতা দরিদ্র পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এই পদক দেয়া হয়েছে।

জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন উপলক্ষে ২৭ জুলাই (২০২১) তার হাতে এই পদক তুলে দেয়া হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপন্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সনদ ও ক্রেস্ট জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেন। এ সময় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানাকে জনপ্রশাসন পদক দেওয়ায় গোপালগঞ্জের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা প্রশাসককে।

গোপালগঞ্জ জেলা উদীচীর সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জে আসার পর থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ সঠিকভাবে দেখভাল করছেন। পরিবার পরিচিতি কার্ড তৈরি করে দেশের মধ্যে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই কার্ডের মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা দরিদ্রদের মাঝে সঠিকভাবে বণ্টন করেছেন।

বিভিন্ন সংগঠন বা ব্যক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে করোনা আক্রান্ত ও শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন। আমি তার এই গঠনমূলক কাজকে সাধুবাদ জানাই এবং তাকে অভিনন্দন জানাই।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, ‘প্রথমে ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি আমাকে জাতীয় পর্যায়ে জনপ্রশাসন পদক দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা সঠিকভাবে বণ্টন করতে প্রথমে পরিবারের ধরণ নির্বাচন করা জরুরি। তাই আমার নিজস্ব ধ্যান-ধারণা থেকে পরিবার পরিচিতি কার্ড করার সিধান্ত নেই। এই কার্ডের মাধ্যমে কোনো পরিবারের আয় কতো তা জানা যাবে এবং সেই অনুযায়ী পরিবারের অবস্থান বা ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।

‘বেশি দরিদ্র যেসব পরিবার রয়েছে তাদের প্রথমে ত্রাণ বা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সাহায্য সময় মতো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই অন্যসব পরিবারের পরিচিতি কার্ড শেষ করতে কাজ করা হচ্ছে।’

২০১৯ সালের ২৩ জুন গোপালগঞ্জে জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন শাহিদা সুলতানা। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল পরিবার পরিচিতি কার্ড তৈরি কার্যক্রম শুরু করেন। মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে ২০ এপ্রিল ৩ লাখ ৯ হাজার মানুষের হাতে তা পৌঁছে দেওয়া হয়।