হেফাজতের বাবুনগরী, মামুনুল এবং ইসলামী আন্দোলনের ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের

follow-upnews
0 0

বাবুনগরী

৭ ডিসেম্বর ২০২০, হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম সম্পাদক মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েব-আমির সায়েদ ফয়জুল করিমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

আজ সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

১৩ নভেম্বর মামলার আসামি মামুনুল হক গত রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ ভবনের মিলনায়তনে বলেছিলেন, ‘যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে তারা বঙ্গবন্ধুর সুসন্তান হতে পারে না। এই মূর্তি স্থাপন বন্ধ করুন। যদি আমাদের আবেদন মানা না হয়, আবারও তৌহিদী জনতা নিয়ে শাপলা চত্বর পুনরায় কায়েম হবে।’

একইদিন আসামি সৈয়দ ফয়জুল করিম ধোলাইখালের নিকটে গেন্ডারিয়া নামক স্থানে তার নসিহত শুনতে আসা সাধারণ মুসলমানদের হাত উঁচু করে শপথ পড়িয়ে নেন যে, ‘আন্দোলন করব, সংগ্রাম করব, জেহাদ করব। রক্ত দিতে চাই না। কিন্তু দেয়া শুরু করলে বন্ধ করব না। রাশিয়ার লেলিনের বাহাত্তর ফুট মূর্তি যদি ক্রেন দিয়ে তুলে সাগরে নিক্ষেপ করতে পারে তাহলে আমি মনে করি শেখ সাহেবের এই মূর্তি আজ হোক অথবা কাল হোক খুলে বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করবে।’

মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জোনায়েদ বাবুনগরী হাটহাজারীতে বলেন, ‘মদিনা সনদে যদি দেশ চলে তাহলে কোনো ভাস্কর্য থাকতে পারে না।’

তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘ভাস্কর্য নির্মাণ পরিকল্পনা থেকে সরে না দাঁড়ালে আরেকটি শাপলা চত্বরের ঘটনা ঘটবে এবং ওই ভাস্কর্য ছুড়ে ফেলা হবে।’ 

https://fb.watch/2dMlx9Bg2B/

Next Post

রাষ্ট্রদ্রোহিতা তো হয়েছেই, মামুনুল হকদের সাজা দিতে তাহলে বাধা কোথায়?

প্রথমে আসা যাক— হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ভাস্কর্যে বিষয়ে কী বলেছিলেন? ১৩ নভেম্বর (২০২০) ঢাকার বিএমএ মিলনায়তনে খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর এক অনুষ্ঠানে মামুনুল হক বলেন, “ধোলাইখালে (ধোলাইরপাড়ে) বঙ্গবন্ধুর মূর্তি স্থাপন বঙ্গবন্ধুর আত্মার সঙ্গে গাদ্দারি করার শামিল। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন করে তারা বঙ্গবন্ধুর সু-সন্তান […]
Babu Nagari, Mamunul Haque, Foizul Karim