Headlines

চাকরি পেতে হলে …

জোভেন জবস

চাকরি খুব কঠিন, অনেক পড়াশুনা এবং প্রতিযোগিতার বিষয়, অনেক সময় যোগাযোগেরও বিষয়। কঠিন বলে চাকরি না পেলে তো চলবে না। আমাদের পড়াশুনা তো চাকরি পাওয়ার জন্যই, তাই না? 

তাহলে? কীভাবে চাকরি পাবেন? কী পড়বেন? কীভাবে পড়বেন? যোগাযোগ দরকার হলে কোথায় কখন কীভাবে যোগাযোগ করবেন? 

আসলে চাকরি পাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে সর্বপ্রথম দরকার কাউন্সেলিং। প্রাজ্ঞদের কাছ থেকে প্রথমে চাকরি বাকরি সম্পর্কে জানতে হবে, তথ্য এবং তাত্ত্বিক পরামর্শ নিতে হবে। এটি সর্বপ্রথম দরকার। এরপর পড়াশুনা। এলোমেলো একগাদা পড়াশুনা দিয়ে চাকরি হবে না, আবার সিলেকটেড কিছু জিনিস পড়েও চাকরি হতে পারে।

তাই চাকরি পাবার জন্য কোচিং দরকার না হলেও, কাউন্সেলিং দরকার রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে কোচিং অনেক থাকলেও কোনো কাউন্সেলিং সেন্টার নেই। আসলে পড়া মুখস্থ করার জন্য আপনার কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। আবার চাকরি পরীক্ষায় যেসব জিনিস আসে তা ঠিক বোঝারও দরকার নেই। আপনার দরকার কিছু দিক নির্দেশনা। 

ঠিক সে কাজটিই করে থাকে ‘জোভেন জব’। আপনাকে আমরা পরামর্শ দিব, পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কিছু বইপত্র সরবরাহ করব বিনামূল্যে। ভাবছেন খরচ খরচার কথা। সেটিও খুব কম। মাত্র ১০০০/- ‘জোভেন জব’ প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং প্রদান করবে, বইপত্র সরবরাহ করবে এবং প্রতি সপ্তাহে আপনাকে একটি অনলাইন ক্লাসের লিংক পাঠাবে। অনলাইনে ভিডিও ক্লাস করে করে আপনার কোচিং-এর কাজটিও হয়ে যাবে। ডোনেশন আছে বলে আপনাদের জন্যে নামমাত্র মূল্যে একটা প্যাকেজ অফার রাখা সম্ভব হচ্ছে। 

মাত্র এক হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে আপনি সবকিছু এখান থেকে বিনামূল্যে পাবেন। মনে রাখতে হবে, এটি একটি সমাজ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানের কোনো মালিকানা বা প্রফিট অংশিদার নেই। রেজিস্ট্রেশন করতে হবে মোবাইলে। একসঙ্গে  সর্বোচ্চ দশ জনের বেশি কাউন্সেলিং করা হয় না। অর্থাৎ, প্রতি সপ্তাহে দশজন। একশো টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে বাকী টাকা উপস্থিত হয়ে দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে পুরো টাকা দিয়েছে এমন দশজন হয়ে গেলে পরের সপ্তাহের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। 

যোগাযোগ:

০১৭৮ ৭৬ ৫৯ ৭৬৯  (রেজিস্ট্রেশনের জন্য)

কখন কোথায়: 

গোপালগঞ্জ: প্রতি মাসের প্রথম, তৃতীয় এবং চতুর্থ শুক্রবার এবং শনিবার

খুলনায়: প্রতি মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার এবং শনিবার

বাগেরহাট: প্রতি মাসের দ্বিতীয় রোববার এবং সোমবার

শুধু চাকরি পাওয়া নয়, এখানে জীবন গঠন এবং জীবনযাপনমূলক বিষয়ও থাকবে। বিশেষত কীভাবে হতাশা কাটিয়ে উঠে নিজের ক্ষমতা সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগাতে হয় সে দিকটিতে আলোকপাত করা হবে। আলোচনা হবে কীভাবে কোনো বিনিয়োগ ছাড়া ব্যবসা শুরু করা যায়। মনে রাখতে হবে সর্বোচ্চ তিন বছরের বেশি চাকরির জন্য চেষ্টা করা উচিৎ নয়, এ সময়ের মধ্যে কোনো চাকরি না হলে অন্য দিকে মনোযোগী হওয়া উচিৎ। ছাত্র জীবন থেকে চাকরির কথা মাথায় রাখলে পড়াশুনা শেষ হওয়ার সাথে সাথে চাকরি পাওয়ার কথা। যাদের পড়াশুনায় ঘাটতি  আছে, প্রথম থেকে আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে, তাদের উচিৎ হবে চাকরির পড়াশুনা করার পাশাপাশি বিকল্প চিন্তা মাথায় রাখা। কোনো একটা উদ্যোগ হাতে নেওয়া রোজ দুএক ঘণ্টা সময় সেখানে দেয়া। নিজের কোনো উদ্যোগ না থাকলে কোনো একজন উদ্যোক্তার সাথে কাজ করতে শুরু করুন। প্রতিদিন অন্তত দুই ঘণ্টা করে সময় দিন। হতে পারে এক জনের সাথে সময় না দিয়ে ভাগ ভাগ করে দু তিন জনের সাথে কাজ করলেন। সপ্তাহের দিন ভাগ করে নিলেন। এভাবে একটা পরিকল্প করা পাঁচ বছর চেষ্টা করে গেলে জীবনে অন্তত জীবীকার সংকট থাকার কথা নয়।