একজন আলমগীরই ইতালিতে এক টুকরো সবুজ বাংলাদেশ

follow-upnews
0 0

ইতালির ফ্লোরেন্সে ২৫ জন মাতাল দুর্বৃত্তের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হতে যাওয়া তরুণী গ্যাইয়া গুয়ার্নোত্তাকে বাঁচিয়েছেন বাংলাদেশি অভিবাসী ফুল বিক্রেতা হোসেইন আলমগীর।

ডেইলি মেইল জানায়, এই তরুণী প্রায় ধর্ষণের শিকার হতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু আলমগীর এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

এছাড়া লিভোর্নোর বাসিন্দা ফটোগ্রাফার গুয়ার্নোত্তা নিজেও ফেসবুক পোস্টে বিভীষিকাময় সেই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, ইতালির উত্তরাঞ্চলের তুসক্যানি অঞ্চলের রাস্তায় রাত সাড়ে ১১টায় একাকী হাঁটছিলেন তিনি। পিয়াজা ডেলা রিপাবলিকার কাছে ২৫ জনের একটি দল এসময় তাকে ঘিরে ধরে।

‘সেই ইতালিয়ান লোকগুলো মাতাল ছিলো। তারা প্রথমে তাদের সবার সাথে সেক্স করতে গুয়ার্নোত্তাকে রাজি করানোর চেষ্টা করে। তারা বলতে থাকে, আমাদের সাথে চলো, চলো মজা করি, একজনের বিপরীতে ২৫ জন, তুমি একটা আনন্দময় রাত কাটাবে।

তখন পালিয়ে যেতে চেষ্টা করলে সেই মাতাল দুর্বৃত্তরা গুয়ার্নোত্তাকে টেনে অপরিচিত স্থানে নিয়ে যেতে থাকে। তার চশমাও সরিয়ে ফেলে তারা।

এসময় গোলমাল উপলব্ধি করে এগিয়ে আসেন গোলাপ বিক্রেতা হোসেইন আলমগীর। তিনি ধাওয়া করে দুর্বৃত্তদের তাড়িয়ে দেন। গুয়ার্নোত্তাকে উদ্ধারের পর তাকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান আলমগীর, তাকে খেতে দেন। গুয়ার্নোত্তাকে একটি টাওয়েল দেন পরিষ্কার হতে। তাকে একটি গোলাপও উপহার দেন।’

আলমগীরের ব্যবহারে অভিভূত গুয়ার্নোত্তা লিখেছেন: হোসেইনের মতো মানুষের জন্য পৃথীবিকে ধন্যবাদ জানাই, যারা কোন প্রতিদান ছাড়াই সাহায্য করে। তার মুখটা আমি কখনও ভুলবো না।

২০০৫ সাল থেকে ইতালিতে বাস করছেন আলমগীর।


সূত্র: অনলাইন
Next Post

ছোটগল্প: উপার্জন

স্বামী দুই বছর পর পর দেশে আসে। মাস খানেক থাকে, এই সময়ে তার প্রধান কাজ হচ্ছে স্ত্রীকে গর্ভবতি করে রেখে যাওয়া। এভাবে সে খানিকটা নিশ্চিন্ত থাকতে চেষ্টা করে। ইয়ারুন চায় না, তার টাকায় স্ত্রী দেশে ফূর্তি করে বেড়াক অন্য পুরুষদের সাথে। মধ্যপ্রাচ্যে থাকে সে, বাঙালির আবহমান পুরুষতান্ত্রিক রক্ষণশীলতার সাথে তার […]
ছোট গল্প

এগুলো পড়তে পারেন