বার্লিন ‘হামলাকারী’ আনিস আমরি মিলানে পুলিশের গুলিতে নিহত

follow-upnews
0 0


জার্মান রাজধানী বার্লিনের বড়দিনের বাজারে লোকজনের ওপর ট্রাক নিয়ে আক্রমণ চালানোর ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত আনিস আমরিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইতালির পুলিশ।

ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় মিলান শহরে পুলিশ তাকে থামানোর পর গোলাগুলিতে একজন পুলিশ আহত হয়।

জার্মানি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে নি, তবে এ খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছে।

ইটালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্দেহভাজন বার্লিন হামলাকারী আনিস আমরিকে হত্যার খবর নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, নিহত ওই ব্যক্তি যে আনিস আমরি সেবিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

ইটালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো মিন্নিতি জানান, “শুক্রবার ভোর রাতে পুলিশ একটি রেল স্টেশনের বাইরে নিয়মিত টহল দেওয়ার সময় সন্দেহ হওয়ায় আনিস আমরির পথরোধ করে। তারপর যখন তাকে পরিচয়পত্র দেখাতে বলা হয় তখন সে সাথে সাথেই একটি অস্ত্র বের করে গুলি চালাতে শুরু করে। তার চালানো গুলিতে পুলিশের একজন অফিসার আহত হয়েছেন। তখন পুলিশ পাল্টা গুলি ছুঁড়লে আনিস আমরি নিহত হয়।”

এসময় সে ‘আল্লাহু আকবর’ বলেও চিৎকার করছিলো বলে বলা হচ্ছে।

ইটালির সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, নিহত এই ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপের সাথে জার্মান পুলিশ সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে যে আনিস আমরির নাম ঘোষণা করেছে তার আঙ্গুলের ছাপ মিলে গেছে।

এর আগে জার্মান পুলিশ ক্রিসমাসের বাজারে যে লরিটি উঠিয়ে দিয়ে ১২ জনকে হত্যা করা হয়, তার ভেতর থেকে আনিস আমরির আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে।

ইটালির একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, আনিস আমরি ট্রেনে চেপে প্রথমে ফ্রান্স থেকে তুরিনে গেছে। তারপর সেখান থেকে মিলানে, যেখানে আজ ভোরে সে নিহত হয়।

জার্মানির কর্তৃপক্ষ এখনও আনিস আমরিকে হত্যার খবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি।

তবে জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এই খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলছেন, “রোমে জার্মান কর্মকর্তাকে এবিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। আমাদের জোরালো ধারণা যে এই ব্যক্তিই বার্লিনে হামলা চালিয়েছে। এই ব্যক্তিকেই যে হত্যা করা হয়েছে সেটাও হয়তো ঠিক। তবে জার্মান সরকার এখনও সেটা নিশ্চিত করেনি।”

২৪ বছর বয়সী আনিস আমরি তিউনিসিয়ার নাগরিক।

২০১১ সালে আরব বসন্ত নামে পরিচিত আন্দোলনের সময় নৌকায় করে ইটালিতে চলে আসে।

তারপর কয়েকটি অপরাধের দায়ে তার চার বছরের সাজা হয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়েই সে চলে যায় জার্মানিতে।

আশ্রয় চেয়ে সে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও করেছিলো, যা প্রত্যাখ্যান করা হয়।

সোমবারে বার্লিন হামলার পর তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে জার্মান পুলিশ এবং তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে এক লাখ ইউরো পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় বার্লিনে চালানো ওই হামলায় ১২ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে আরো ৪৯ জন।

অন্যদিকে, আরো একটি বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনার সন্দেহে জার্মান পুলিশ ওবেরহাউজেন থেকে আরো দু’জনকে আটক করেছে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

Next Post

বিশেষ সম্পাদকীয় : রাজনীতি নয়, আগে বাজারের দখল নিতে হবে

জনগণের নির্যাতিত অংশ ঈশ্বরের কাছে বিচার দিয়ে বসে থাকে, থাকানো হয়। নীপিড়িতদের একটা বড় অংশ শুধু পরকালের দিকে তাকিয়ে থাকে, ফলে পৃথিবীতে তারা ভয়ানকভাবে কুসংস্কারাচ্ছন্ন, নিয়তিবাদী এবং অসংগঠিত, একইসাথে তারা দুঃখবোধহীন। সন্তান বেঘোরে মরলেও তাদের খুব সহজে সয়ে যায় সে বেহেস্তে যাবে ভেবে। এদেশে ভাল মানুষেরা  ক্ষমতাহীন, এবং এ কারণে […]