মাদকাসক্তির প্রধান লক্ষণ সমূহ

follow-upnews
0 0

মাদক আমাদের সমাজে এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। কোনো সমস্যা যখন মহামারিতে রূপ নেয় তখনই সমাজে সেটি আতঙ্ক তৈরি করে। মাদকের বিস্তারের এতো বেড়েছে যে এখন সেটি আতঙ্কের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। দেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠনের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূর্নিতী, নৈরাজ্য এবং মাদক ব্যবসা। যুক্তি বলে, এ সবই যেন এক সূত্রে গাঁথা। 

মাদক সমস্যার সমাধান অবশ্যই কালো টাকা এবং মাদক বাণিজ্যের মধ্যে। তারপরেও রোগ হলে সেটি সারানোর চেষ্টা করতে হয়। পাপকে ঘৃণা করলেও পাপীকে সংশোধনের পথ দেখাতে হয়। এজন্যই প্রশ্ন রয়েছে মাদকাশক্ত ব্যক্তির চিকিৎসার। এছাড়া এমন নয় যে মাদক যে নেয় সে খারাপ মানুষ, মাদক বিভিন্ন কারণে মানুষ নিতে পারে, কৌতুহল, অস্থিরতা, পাগলামি, অনেক কারণ থাকতে পারে, তাই কোনো সহজ সমীকরণে ফেলে সমাধান করতে গেলে তাতে হীত হবে না। 

মাদকাসক্ত ব্যক্তির চিকিৎসা এবং পুর্নবাসনের জন্য প্রয়োজন হয় আবাসিক চিকিৎসা এবং কাউন্সেলিং-এর। তবে প্রথম দিকে সণাক্ত করতে পারলে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সহজ হয়। 

প্রগতি মানসিক রোগ এবং মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র জানাচ্ছে মাদকাসক্তির প্রধান লক্ষণ সমূহ:

♣ আচার আচরণে পরিবর্তন।

♣ মন খুব অস্থির থাকে, মেজাজ কখনো খুব ভালো কখনো খুব খারাপ। 

♣ জিহ্বা-ঠোট-মুখ শুকনো থাকে। কথা বলার সময় ঘন ঘন পানির পিপাশা লাগা এবং খাবারে অনীহা। 

♣ কোনো কিছুতে মনোযোগী হতে না পারা। 

♣ পরিবারের সদস্যদের এড়িয়ে চলা। ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়া। 

♣ গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা। দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা। 

♣ বাড়ির বাইরে সময় কাটাতে পছন্দ করা। 

♣ টাকা চাওয়া, এবং টাকা পয়শার বিষয়ে জবাবদিহিতা না থাকা। অসততা। 

♣ ঘরে মাদকদ্রব্যের অবশিষ্টাংশ পাওয়া, যেমন সিরিঞ্জ, ছিলছিলা কাগজ, এখানে সেখানে ম্যাচ বা ম্যাচের কাঠি, লাইট, মোমবাতি ইত্যাদি। 

♣ হাতে বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অবাঞ্চিত দাগ। 

এছাড়া বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে মাদকাসক্তরা। প্রাথমিক অবস্থায় মনোযোগী হলে পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারবে। যখন এমনিই চোখে পড়ে তখন আসলে নাগালের বাইরে চলে যায়। হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন পড়ে। 


প্রচারণায়: প্রগতি মানসিক রোগ ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র

ফোন: ০৪১-২৮৩১৮২৭, ০১৯১৫ ৮১০০৩৮, ০১৭১৬-৪২২১৭১

Next Post

উপজেলা পরিচিতি: বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলা

জমিদার কচু রায়ের নামানূসারে কচুয়া নামকরণ হয়েছে বলে জানা যায়। কচুয়া উপজেলার আয়তন ১৩১.৬২ বর্গ কিলোমিটার। লোকসংখ্যা লক্ষাধিক। কচুয়া বাগেরহাটের সর্বপ্রথম থানা। কচুয়ার পূর্বে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলা পশ্চিমে বাগেরহাট সদর উপজেলা, উত্তরে চিতলমারী এবং দক্ষিণে মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা। কচুয়া আগে বাকেগঞ্জ তথা বরিশালের একটি প্রশাসনিক ইউনিট ছিল। ১৮৬৩ […]
কচুয়া উপজেলা

এগুলো পড়তে পারেন