যে হাসপাতালের নামে ইংরেজিতে নিকৃষ্ট একটি শব্দই সৃষ্টি হয়েছে

follow-upnews
0 0

পৃথিবীর মধ্যে এটিই সর্বাধিক পুরাতন মানসিক রোগের হাসপাতাল। মূলত এটি ছিল একটি আশ্রয়কেন্দ্র। তবে হাসপাতাল বললে এটির আসল চরিত্র চাপা পড়ে যায়। এটি ছিল মূলত মানসিক রোগীদের একটি টর্চার সেল। অব্যবস্থাপনা এবং ভয়াবহতার জন্য হাসপাতালটি ইতিহাস কুখ্যাত হয়ে আছে। ওখানে মূলত মানসিক রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হত না, বন্দী করে রাখা হত।
ছোট্ট একটি রুমে গোড়াপত্তন হয়েছিল বেথেলহাম পাসপাতালের। ডজন খানেক রোগী সেখানে রাখা যেত। এটি ১২৪৭ সালের কথা। এরপর ১৬০০ সাল পর্যন্ত হাসপাতালটি উত্তোরত্তর বৃহৎ হয়েছে এবং চলমান ছিল কিন্তু কিভাবে চলেছে সে সম্পর্ক খুব কমই জানা কেউ। চিকিৎসার নামে রোগীদের উপর যে বর্বরতা চালানো হত ইতিহাস ঘেটে তার কিছু এখানে তুলে ধরা হয়েছে:

১. রোটেশনাল থেরাপি: একটি ঝুলন্ত চেয়ারে রোগীদের বসিয়ে ঘুরানো হত। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঘুর্ণনের বেগ বাড়ানো হত বা কমানো হত। উল্লেখ্য, রোটেশনাল থেরাপির আবিস্কারক ছিলেন চার্লস ডারউনের পিতামহ ইরেসমাস ডারউইন। রোটেশনাল থেরাপিতে মিনিটে একশোবারও ঘুরানো হত এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এটা চলত ঘণ্টাখানেক ধরে। ফলশ্রুতিতে রোগীদের মরনাপন্ন অবস্থা হত, কেউ কেউ মারাও যেত।

২. এখনকার মত বিজ্ঞানসম্মত কোন সাইকোথেরাপির ব্যবস্থা তখন ছিল না। রোগীদের তখন ঠাণ্ডা পানিতে চুবানো হত, পিটানো হত, এবং না খাইয়ে রাখা হত।

৩. প্রচুর রোগী মারা যেত যাদেরকে নিয়ম মাফিক কবর না দিয়ে গণকবরে ফেলা হত।

৪. তখনকার সময়ে ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য মৃতদেহ মেলানো খুব কঠিন ছিল। এই হাসপাতালে মৃতরা যেহেতু বেওয়ারিশ ছিল তাই তাদের মৃতদেহ পরীক্ষার কাজে অনেক পরিক্ষক ব্যবহার করেছেন।

৫. হাসপাতালটি প্রথমে ছিল চার্চের অধীনে এরপর রাজ্যপালের অধিনস্ত হয়। হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ ছিল যা কিছু সব লুটপাট হত উপর থেকে নিচে, রোগীরা কোনমতে বেচে থেকে অবশেষে মারা যেত।

৬. ১৭৯৫ সালে জন হাসলাম দায়িত্ব নিয়ে আসলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠে। কোন কোন রোগীকে চাবুক মারা হত ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না রোগীর পিঠের চামড়া দড়িতে লেগে থাকে।

৭. আসলে এটি ছিল একটি মানব-চিড়িয়াখানা। আসলেই তাই। কারণ, জনগণ বন্দীদের দেখে বিনোদন লাভ করতে পারত, এমনকি তাদের (রোগীদের) খোঁচা মেরে উত্যক্ত করার সুযোগও মিলত।

৮. পরিস্থতির উন্নতি হয় ১৮১৪ সালের একটি সরকারি তদন্তের মাধ্যমে।

৯. বর্তমোনের চমৎকার বেথেলহাম রয়্যাল হাসপাতালটি আসলে কুখ্যাত সেই বেথলেম হাসপাতালের পুনর্জাগরিত রূপ।

[ইংরেজি bedlam শব্দটির জন্ম হয়েছে Bethlem থেকে—যা এই হাসপাতালটির নৈরাজ্যের পরিচয় বহন করে।]

সৌজন্যে: ব্রেন এন্ড লাইফ হাসপাতাল


081

Next Post

একজন দক্ষিণ আফ্রিকানের কাছে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা

গ্রান্ট ডেভিড ইলিয়ট, জন্ম : ২৪ মার্চ ১৯৭৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে। বেড়ে উঠেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে কোটা সিস্টেম ছিল, তাই ভবিশ্যত গড়ার লক্ষ্যে িইলিয়ট পাড়ি জমিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডে ২০০১ সালে। এর আগে নিউজিল্যান্ড টিমে ডাক পাওয়ার আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ইন্ডিয়ার সাথে এক ম্যাচ খেলেছেন।