জীবনী : বারট্রান্ড রাসেল

follow-upnews
0 0

বার্ট্রান্ড রাসেল, পুরো নাম আর্থার উইলিয়াম রাসেল (১৮৭২-১৯৭০) একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক। রাসেল ছিলেন আদর্শবাদের বিরুদ্ধে, এবং তাকে বিশ্লেষণী দর্শনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। রাসেল এবং হোয়াইটহেড (আলফ্রেড নর্থ হোয়াইটহেড) একত্রে প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা (১৯১০-১৯১৩) নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। বইটিতে গণিতকে যুক্তির ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়েছে। রাসলের দার্শনিক নিবন্ধ “অন ডিনোটিং” দর্শনশাস্ত্রে একটিচ মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়। রাসেল অহিংসবাদ এবং সম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছিলেন। অহিংসবাদ প্রচারের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি জেলবন্দীও হলেছিলেন। তিনি হিটলারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছিলেন, তিনি সোভিয়েত টোটালিটারিয়ানিজমেরও বিপে ছিলেন। পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণের পে তিনি ছিলেন সোচ্চার।
রাসেল ১৯৫০ সালে সাহিত্যে সকল সাহিত্য কর্মের উপর রাসেল নোাবেল পুরস্কার অর্জন করেন। রাসেল তার সকল লেখায় সবসময় মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তিকে তুলে ধরেছেন।

    ১৮৭২- মে ১৮ তে জন্ম।
    ১৮৭৪- মাতা এবং বোনের মৃত্যু।
    ১৮৭৬- পিতার মৃত্যু; পিতামহ লর্ড জন রাসেল (যিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন) তাঁর দেখাশোনার ভার নেন।
    ১৮৯০- কেম্ব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি।
    ১৮৯৩- গণিতে প্রথম শ্রেণী অর্জন করে বিএ পাস।
    ১৮৯৪- অ্যালিস পিয়ার্সাল স্মিথ কে বিয়ে করলেন।
    ১৯০১- russel’s paradox আবিস্কার করলেন।

    ১৯০৩ – দ্যা প্রিন্সিপাল অব ম্যাথম্যাটিক্স প্রকাশিত হয় সালে।

    ১৯০৮- রয়াল সোসাইটি এর সদস্য নির্বাচিত হলেন।

    ১৯১২- দ্যা প্রব্লেম অব ফিলোসফি
    ১৯১৬- যুদ্ধ বিরোধী ভূমিকার জন্য ট্রিনিটি কলেজ থেকে বহিষ্কৃত এবং ১১০ পাউন্ডের জরিমানার শিকার।
    ১৯১৮-যুদ্ধ বিরোধী মিছিলে অংশ নেয়ার অপরাধে ৫ মাসের কারাদন্ড ভোগ।

    ১৯২১- দ্যা এনালাইসিস অব মাইন্ড প্রকাশিত হয়।
    ১৯২১- প্রথমা স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ। ডোরা ব্ল্যাক কে বিবাহ।

    ১৯২৫- হোয়াট আই বিলিভ প্রকাশিত হয়।

    ১৯৩০- দ্যা কনকোয়েস্ট অব হ্যাপিনেস প্রকাশিত হয়।
    ১৯৩১-ভাই এর মৃত্যুর পর তৃতীয় আর্ল রাসেল এর পদে অধীষ্ঠ হলেন।
    ১৯৩৫- ডোরা ব্ল্যাক এর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ।

    ১৯৩৫- দ্যা রেলিজিয়ন এন্ড সায়েন্স প্রকাশিত হয়।
    ১৯৩৬- এবার বিয়ে করলেন প্যাট্রিসিয়া হেলেন স্পেন্স কে ।
    ১৯৪০- নিউ ইয়র্ক সিটি কলেজ এ নিয়োগ প্রাপ্তি।
    ১৯৪৩-পেনিসিল্ভানিয়ার বার্ন্স ফাউন্ডেশান থেকে বহিষ্কৃত।
    ১৯৪৯- অর্ডার অফ মেরিট উপাধি লাভ।
    ১৯৫০- সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন।

    ১৯৫২- দ্যা ইমপ্যাক্ট অব সায়েন্স অন সোসাইটি প্রকাশিত হয়।
    ১৯৫২-হেলেন এর সাথে বিচ্ছেদ। বিয়ে করলেন এডিথ ফিঞ্চ কে।
    ১৯৫৫- রাসেল-আইন্সটাইন মেনিফেস্টো প্রকাশ।
    ১৯৫৮- পরমাণু অস্ত্র বিরোধী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন।
    ১৯৬১-এক সপ্তাহের কারাবাস। কারণ- পরমাণু বিরোধী বিক্ষোভে ভূমিকা।
    ১৯৭০-ফেব্রুয়ারি ২, ওয়েল্‌স এর পেনরিন্ডিউড্রথ এ মারা যান।

Next Post

সত্য শুধু অটুট থাকে ভালবাসায়

১ প্রিয়তম, তুমি ছাড়া এত আপন কে আছে বলো, যাকে বলব আমার অন্যায় যত? তুমি কি জানো না, দেখনি কি কোনো বৃন্দাবন? কৃষ্ণের কথা শোনোনি কভু, যে আমাদের প্রভু? বলতে মানা কে ছিল ঈসা-মুসা-হযরত। কত কিছু মেশে তাতে, অবশেষে লোকে দেখে পোক্ত সে ইমারত। প্রিয়তম, প্রেম ঠকায় ধর্ম ঠকায়, সত্য […]