ফেসবুক স্ট্যাটাস: আমি জীবনকে হ্যাঁ বলতে শিখেছি চরম হতাশার মাঝেও

follow-upnews
0 0

Uthpala Biswas

নিচের লিংকটি গবেষক ব্রেনে ব্রাউনের সাথে অপরাহ উইনফ্রের একটি সাক্ষাৎকার, বিষয় Rising Strong. আমি জীবনে প্রথমবার ভেঙে পড়েছিলাম মেডিকেল কলেজে তৃতীয়বর্ষে ফরেনসিক মেডিসিনের আইটেমে ফেল করার পর! আমি ছোটবেলা থেকে অনেক প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি, কখনও ভেঙে পড়িনি। কিন্তু সেই এক আইটেমে ফেল আমি মেনে নিতে পারিনি। স্কুল কলেজে প্রায়শই প্রথম হয়ে আসা আমার পক্ষে ফেল করাটা মেনে নেয়া খুব কষ্টকর ছিল, তার ওপর এক শিক্ষকের মন ভেঙে দেয়া কিছু মন্তব্য। সেটা ছিল আমার ফেল করার শুরু। এরপর আরো অনেক কিছুতেই ফেল করেছি, ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু আমার জীবন সম্পর্কে সবচেয়ে গভীর বোধগুলো এই ব্যর্থতা থেকেই জন্ম নিয়েছে, সফলতা থেকে নয়। আমি জেনেছি, বুঝেছি যে আমি কতটা অসম্পূর্ণ, আমার সীমাবদ্ধতাগুলোকে জানতে পেরেছি, যেগুলোর সাথে আমি অসচেতনভাবেই বাস করছিলাম। আমি এবছরের মাঝামাঝি ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম যে আমি ভেঙে পড়ছি, শেষ হয়ে যাচ্ছি, জানতাম না এরপর আমি ছাইভস্ম হয়ে মিশে যাব প্রকৃতিতে নাকি ভস্মীভূত অঙ্গার থেকে ফিনিক্স পাখির মত ডানা মেলে উড়তে পারব আকাশে। না, আমি ফিনিক্স পাখি হতে পারিনি। কিন্তু আমি মনে এতটুকু বিশ্বাস আনতে পেরেছি যে এরপর আমি ভেঙে পড়লে কিংবা ব্যর্থ হলে মুখ থুবড়ে পড়ব না, রক্তাক্ত হৃদয়, ক্লেদাক্ত শরীর নিয়েই উঠে দাঁড়াতে পারব। আমি জীবনকে হঁ্যা বলতে শিখেছি চরম হতাশার মাঝেও। ২০১৭ আমাকে অনেক মূল্যবান কিছু শিখিয়েছে। বিদায় ২০১৭! স্বাগতম ২০১৮! যদিও এই সাল গণনার কোনও মানে হয় না, তবু আশা করি সবাই নিজের মত করে আগামী দিনগুলোতে জীবনের অর্থ খুজে পাবার পথে যাত্রা করবে!
https://youtu.be/DFaA7mvgMNk


উৎপলা বিশ্বাস

Next Post

রক্ত প্রয়োজন হলে কোথায় খুঁজবেন?

রক্ত সরবরাহের জন্য দেশে বেশ কয়েকটি ব্লাড ব্যাংক আছে। সংগঠনগুলো রোগীদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে রক্ত সরবরাহের ব্যবস্থা করে থাকে। চাহিদানুযায়ী ব্যাংকে রক্ত না থাকলে তারা ডোনার সংগ্রহ করে দেয়ার চেষ্টা করে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র স্বেচ্ছায় রক্তদানে ইচ্ছুক দাতাদের রক্ত সংগ্রহ করে থাকে। রক্তদান ও গ্রহণ: প্রতিষ্ঠান বিশেষ নিয়ম রয়েছে। যেমন, […]
বাঁধন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়