জীবনযাপন-২ : ট্রাফিক জ্যাম এড়াবেন যেভাবে

follow-upnews
0 0

Lifestyle_Network_logo_2013

ঢাকা শহরের প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যামে কমবেশি সবাই দিশেহারা। প্রতিদিন যদি ঘড়ে দুই ঘণ্টা ভয়াবহ এই জ্যামে ব্যয় হয় তাহলে জীবন থেকে বেশ কয়েকটা বছর ঝরে যাচ্ছে। তারচেয়ে বড় কথা, যেহেতু আমাদের যানবাহনের অবস্থা ভাল নয়, এবং যাত্রীতে ঠাসা থাকে, তাই দীর্ঘক্ষণ এ অবস্থায় থাকার ফলে শরীর এবং মনের উপর নানান ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

ট্রাফিক জ্যাম দূর করা আপনার আমার মত একজন সাধারণ নাগরিকের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করে জ্যাম এড়িয়ে চলা সম্ভব।

১। স্বল্প দূরত্বের পথটুকু হেঁটে চলা অভ্যাস করতে হবে। যেমন, শাহবাগ থেকে বাংলামটর পর্যন্ত, এমনকি কাওরান বাজার পর্যন্ত সহজেই হেঁটে যাওয়া সম্ভব। শাহবাগ থেকে বাংলামটর পর্যন্ত হেঁটে যেতে লাগে মাত্র আট মিনিট। দিনে মাত্র ত্রিশ মিনিট হেঁটে প্রয়োজনীয় অনেক কাজ সারা সম্ভব। কিছুদিন পরেই তো সকালে রমনায় গিয়ে ব্যয়াম করতে হবে, এখন থেকেই না হয় সেটি করলেন, কাজও হল, ব্যয়ামও হল;

২। কর্মস্থলের কাছাকাছি বাসা নিতে হবে। ধরা যাক, আপনার কর্মস্থল মতিঝিলে, তাহলে আপনাকে বাসা নিতে হবে মতিঝিলের আশাপাশে এমন জায়গায় যেখান থেকে দশ থেকে ত্রিশ মিনিট হেঁটে কর্মস্থলে পৌঁছানো সম্ভব, তাহলে আপনাকে যানবাহনের অপেক্ষায় থাকতে হবে না, ট্রাফিক জ্যামেও পড়তে হবে না;

৩। ছেলে-মেয়েকে বাসা থেকে কাছাকাছি সম্ভাব্য ভাল স্কুলে পড়ান, অনেক দূরের ভাল স্কুলে পাঠানোর প্রয়োজন নেই, এতে ওদের সময় বাঁচবে, ধকল কমবে, আপনাদেরও ওদের উপর খেয়াল রাখা সহজ হবে;

৪। বন্ধের দিনে শপিংএ জান, এখন অনেক শপিং মল শুক্রবার খোলা থাকে, তবে সবচেয়ে ভাল হয় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে না গিয়ে অন্যকোন বন্ধের দিনে শপিং এ যাওয়া, কারণ, শুক্রবার ঐসব শপিং মলে ভিড় থাকে, তাই দাম একটু বেশি হাঁকা হয়;

এরকম সবক্ষেত্রেই কিছু কৌশল অবলম্বন করা সম্ভব।

 

Next Post

জীবনযাপন-৩ : ‘তবুও’ ‘কিন্তু’ এসব শব্দ যথাসম্ভব পরিহার করুন

ধরুণ, মাওয়া ঘাটে লঞ্চে আপনি পার হচ্ছেন। লঞ্চের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। আপনার আঙ্গুলের দামী একটি সোনার আংটি রয়েছে। আংটিটা খুলে আঙ্গুল বদল করতে গিয়ে বেখেয়ালে সেটি টুপ করে নদীতে পড়ে গেল। কী করবেন এখন আপনি? ক. নদীতে ঝাপ দিয়ে পড়বেন? খ. চিৎকার করে লঞ্চের সবাইকে জানাবেন? গ. চালককে লঞ্চ […]