ঢাবির বিভিন্ন বিভাগে সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সে ভর্তির তথ্য

follow-upnews
0 0

১

অনেকের কাছেই স্বপ্নের গন্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি-যুদ্ধে সারা দেশের কয়েক লাখ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে মাত্র কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী এখানে পড়ার সুযোগ পান। আর বাকিরা বাস্তবতা মেনেই স্নাতক পর্যায়ে অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। স্নাতক বা ব্যাচেলর হওয়ার পরও কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায়। বিভিন্ন বিভাগে এমবিএ, এমএ, এমএসএস, এমএসসি ডিগ্রির জন্য স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পর্যায়ে ভর্তির সুযোগ আছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগে এক বছর ও দুই বছর মেয়াদি মাস্টার্স কোর্স MBA MA Masters Mphil ভর্তি হওয়া যায়।

ভর্তির প্রাথমিক যোগ্যতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সাধারণ ও সান্ধ্যকালীন মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া যায়। দেশি-বিদেশি, সরকার স্বীকৃত যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পর্যায়ের পড়াশোনায় দ্বিতীয় শ্রেণি বা ন্যূনতম সিজিপিএ-২.৫০ গ্রেড থাকলে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। বিভাগ অনুসারে এই ন্যূনতম সিজিপিএতে কমবেশি দেখা যায়। বিশেষায়িত ও কারিগরি বিভাগে পড়াশোনায় নির্দিষ্ট বিভাগের স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।

ভর্তির প্রক্রিয়া
স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। বছরে দুই থেকে তিনবার বিভিন্ন বিভাগে নানা মেয়াদের মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। সাধারণত ডিসেম্বর এবং জুন মাসে জাতীয় দৈনিকগুলোতে ভর্তি-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ইনস্টিটিউট বা ব্যাংক থেকে ফি জমা দিয়ে ভর্তির ফরম সংগ্রহ করেন। সাধারণত প্রতি সেশনে বিভাগ ভেদে ৫০ থেকে ১০০ জন শিক্ষার্থী নেওয়া হয়। ভর্তি পরীক্ষায় নির্ধারিত বিষয়সহ ইংরেজি, বাংলা ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর প্রশ্ন থাকে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত করা হয়।

পড়াশোনার খরচ
বিভাগ ভেদে স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য খরচে ভিন্নতা দেখা যায়। ভিন্ন ভিন্ন কোর্সে, বিভিন্ন বিভাগ অনুসারে ৫০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

যত বিষয়ে মাস্টার্সের পড়াশোনা
পপুলেশন সায়েন্স বিভাগে দুই বছর মেয়াদি মাস্টার্স অব পপুলেশন সায়েন্স প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার সুযোগ আছে। তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে যাঁরা পড়তে চান, দুই বছর মেয়াদি ইভিনিং এমএ কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। তবে এই বিভাগে আবেদনের জন্য মাধ্যমিক ও স্নাতকের প্রাপ্ত সিজিপিএর যোগফল ন্যূনতম ৭ থাকতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) এক বছর/দুই বছর মেয়াদি এমএড (সান্ধ্য) কার্যক্রমে ভর্তির সুযোগ আছে। বিএড (সম্মান)/ বিএড বা সমতুল্য ডিগ্রিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারেন। সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইভিনিং মাস্টার্স প্রোগ্রামের এক বছর মেয়াদি এমএসএস কোর্স, ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের মাস্টার্স অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধীনে মাস্টার্স ইন গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (এমজিএস) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স প্রোগ্রাম ইন ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিসেও পড়াশোনার সুযোগ আছে। এ ছাড়া ভাষা নিয়ে যাঁদের আগ্রহ আছে, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে এমএ ইন ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং ডিগ্রি নিতে পারেন।
টেলিভিশন ও ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগে মাস্টার্স অব সোশ্যাল সায়েন্স ইন টেলিভিশন অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজে ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান। এই বিভাগে চার সেমিস্টার শেষে তিন মাসের ইন্টার্নশিপে অংশ নিতে হয়। এ ছাড়া কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডার বিভাগে দুই বছরের প্রোফেশনাল এমএসএস ইন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি (পিএমএসএলটি) ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়া যায়।
ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে দুই বছর মেয়াদি ইভিনিং ও সাধারণ এমবিএ করা যায়। আইবিএতে পেশাজীবীদের জন্য এক বছরের এক্সিকিউটিভ এমবিএ করার সুযোগ আছে। অ্যাকাউন্টিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগে দুই বছর মেয়াদি মাস্টার্স অব প্রোফেশনাল অ্যাকাউন্টিং (এমপিএ)কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়।
পদার্থবিজ্ঞান, ফলিতপদার্থ, ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশন প্রকৌশল বা রসায়নে চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি ও এক বছরের মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়ে ইনস্টিটিউট অব এনার্জির এমএস ইন রিনিউয়েবল এনার্জি টেকনোলজিতে ৩৮ ক্রেডিটের স্নাতকোত্তরে দেড় বছর মেয়াদি কোর্সে ভর্তির সুযোগ আছে। ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ভর্তি হতে পারেন এমএস ইন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট কোর্সে। ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজিতে (আইআইটি) এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি (এমআইটি) ডিগ্রি নিতে পারেন। এই কোর্সে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। একই ইনস্টিটিউট থেকে মাস্টার্স অব সায়েন্স ইন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে তিন সেমিস্টারের মাস্টার্স কোর্সে ভর্তির সুযোগ আছে। বায়োমেডিক্যাল ফিজিকস অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে মেডিকেল ফিজিকস ও বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়া যায়। এখানে ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থ, ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার, গণিত ও অ্যানালিটিক্যাল দক্ষতার ওপরে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।
সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে এমএস ইন ওশানোগ্রাফি ডিগ্রি নিয়েও পড়া যায়। ১৮ মাস মেয়াদি এই বিষয়ে পড়াশোনার জন্য ভূগোল, ভূতত্ত্ব, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত বা উদ্ভিদবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারেন।

বিস্তারিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তির যোগ্যতা, নিয়মাবলি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

www.Capstonebd.com
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: du.ac.bd

আইবিএঃ http://iba-du.edu/

বায়োমেডিক্যাল ফিজিকস ও টেকনোলজি: bmpt.du.ac.bd
টেলিভিশন ও ফিল্ম স্টাডিজ: tfs.du.ac.bd
আইআইটি: iit.du.ac.bd
পপুলেশন সায়েন্স: dpsdu.edu.bd
ওশানোগ্রাফি: oceanographydu.com

Next Post

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই এবং লেখকদের নাম

১। আমি বিজয় দেখেছি : এম আর আখতার মুকুল; (সাগর পাবলিশার্স) ২। একাত্তরের দিনগুলি : জাহানারা ইমাম; (সন্ধানী প্রকাশনী) ৩। Bangladesh a Legacy of Blood : Anthony Mascarenhas ৪। The Rape of Bangladesh : Anthony Mascarenhas ৫। The cruel Birth of Bangladesh : Archer K. Blood; University Press Limited ৬। […]