শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি করে বলেছেন, ‘‘নারী নিজেকে শালীনতার সঙ্গে পোশাক না পরলে ইসলামের আদেশ লঙ্ঘন করা হয়৷ তবে পরিমিত পোশাক পরে যদি কেউ নিজেকে ঢেকে চলেন, তাহলে আলাদাভাবে বোরকা বা হিজাবের প্রয়োজন নেই৷’’
ডয়েচেভেলের সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “কোরআনে সংযত হয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। আক্ষরিক অর্থে পোশাক কেমন হবে সে বিষয়ে কোরআনে কিছু বলা নেই।” বিভিন্ন দেশ তাদের সংস্কৃতি এবং আবহাওয়া অনুযায়ী তাদের পোশাক নির্ধারণ করেছে, এটা ধর্মীয় দৃষ্টিকোন নয় বলে তিনি মত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, হিজাব পরা না পরার সাথে পরকালের শাস্তির কোনো বিষয় নেই, প্রশ্ন হচ্ছে, শালীনভাবে চলা, এটাই ইসলামের আদেশ। কেউ যাচ্ছেতাইভাবে চললে পরকালে তার কী শাস্তি হবে সেটি মানুষের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
তিনি আলো বলেন, পর্দাটার ব্যাপারে যা বলা হয়েছে, তা বুছতে হবে। বিষয়টা হলো, নারীর অঙ্গগুলি যেন উৎকটভাবে উম্মোচিত না থাকে৷ কেউ দেহ প্রদর্শণকারী আটসাঁট পোশাক পরল সাথে মাথায় একটা রুমাল জড়িয়ে দিল, তাতে কি হিজাব হয়ে যাবে?
তিনি নারী পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দার প্রসঙ্গ এনেছেন। কোরআনে নারীকে বলা হয়েছে, ‘‘তোমার চলাফেরার সময় তোমার দৃষ্টিকে আনত রাখবে৷” পুরুষকেও বলা হয়েছে, ‘‘তুমি তোমার চলাফেরার সময় দৃষ্টি আনত রাখবে৷” নারীকে আরো বলা হয়েছে, ‘‘তুমি তোমার শরীরকে আচ্ছাদিত করবে৷” পুরুষকেও বলা আছে, ‘‘তুমি তোমার শরীর আচ্ছাদিত করবে৷”