আমার যে কান্না পায়

follow-upnews
0 0

প্রিয়তম, যাবে আমার সাথে?

প্রিয়তম,
যাবে কাল রাতে
আমার সাথে আরবে?
তীর্থ শেষে ফিরব প্রাতে,
এরপর বৃন্দাবনে।
একই তুমি বেদুঈন,
কখনো কৃষ্ণপ্রেমে।

প্রিয়তম,

তোমার জন্য আমি আকাশ রাখি,

ওদের শুধু শূন্যে ভাসাই।

প্রিয়তম,

আমার যে কান্না পায়,

কাঁদতে কাঁদতে তাকে হাসাই।


আমি শুধু তোমাকে চাই

প্রিয়তম,
সবটুকু ভালবাসা
রেখে আসো না-হয়
তোমার প্রেমিকের পায়।
আমি শুধু তোমাকে চাই।

প্রিয়তম,
মিথ্যা বলো তুমিও
আমার মত।
আসো না আজ রাতে,
শিখিয়ে দেব সব তোমায়।

ঠিক এভাবেও হয়,
স্বর্গসমান গোপনীয়তায়
তুমি-আমি ঈশ্বর হয়ে বাঁচি।

প্রিয়তম,
রোজ একটু একটু করে
সময় ফুরায় তোমার আমার।
আসো না আজ একবার।

প্রিয়তম,

আসো না …

কেন কষ্ট পাও অনাহারে!

কেন তুমি পারাবার রিক্ত হও অজুহাতে।


স্মৃতি খুড়ে আনি দিন

দুঃখগুলো আসে কখনো কখনো

ভালবাসার বেশে।

স্বর্গের সে দেবী

শুরুতে খিলখিলিয়ে হাসে।

দিগ্বিদিক তখন তুমি শ্রাবণ

ধারা হয়ে বও,

অভিমানে অসীম শূন্যে মিলাও। 

মরুতে মহাপ্লাবনের প্রত্যাশায়

তুমি ছিলে সীমাহীন।

ওরা নিরাশ্রয়, আশাহত রয়;

আমার পথ হল অন্তহীন।

দূর হতে মধ্যরাতে

কারো কান্না সুর হয়ে ভাসে

অবিরাম আমার পাশে ।

চেয়ে দেখি সে তখন ঘুমঘোরে হাসে।

এক যুগ পরে কোনো এক

ক্লান্ত অবসরে স্মৃতি খুড়ে আনি দিন

সত্যি আজ মানি-

তুমি না অতটুকু জ্বালালে

আমি আরো বেশি জ্বলতাম এতদিন।



প্রিয়তম, কবে তুমি বৃদ্ধ হবে?


প্রিয়তম,
কবে ছাড়বে ওরা তোমায়,
কবে তুমি বৃদ্ধ হবে?
আমি কি বাঁচব সেদিন?
পৃথিবী কি থাকবে ততদিন?


প্রিয়তম,
মনে আছে তুমি আমায় নিয়েছিল
স্বর্গে সেদিন।
আমায় বলেছিল,
“এখানে যথেচ্ছা পাপ করো,
দেখবে না কেউ!”
আরো বলেছিলে,
পৃথিবীতে গিয়ে আমি যেন না বলি কিছু।

প্রিয়তম, আমি কথা রেখেছি,

কাউকে বলিনি কিচ্ছু কোনোদিন।

প্রিয়তম, তুমি আজ ‍ভুল হবে

তুমি আজ ভুল হবে?

প্রিয়তম,

আমি শুধু খুলে ফেলব বলে

আমার জন্য তুমি

খোপায় একটা ফুল দেবে?

আমি শুধু পাব বলে

আমার জন্য তুমি আজ ভুল হবে?

তোমাকে পাবার আশায়

প্রিয়তম,

আমার যে সময় ফুরায়,

তোমার তবু হয় না অবসর!

কী আর নেব পড়ন্ত বেলায়,

এ জীবনে সবটাই হারিয়েছি হেলায়।

দূর-অজানায়, তোমাকে পাবার আশায়

লেপ্টে থাকি আকাশের গায়।

এখন তোমার পুষ্টিকর ফল প্রয়োজন

প্রিয়তম,
আমাকেও তুমি কিছু খাতির করো বটে
শুধু সভ্যতার প্রতি এখনো
তোমার কিছুু দায় আছে বলে।
আমি বুঝি প্রিয়তম,
বীজ তোমার কাছেও মূল্যবান ঠিকই,
কিন্তু সে শুধু আগামীতে ফসল ফলাতে।
এখন তোমার পুষ্টিকর ফল প্রয়োজন।

ঠিক নেই, কিচ্ছু ঠিক নেই

প্রিয়তম,
ভেবেছ কি কোনোদিন
প্রতিটি ‘না’ কতগুলো শক্তিশালী
‘হ্যাঁ’ দিয়ে তৈরি?
আমি বলি ‘না’ …
তুমি মুখ অন্ধকার করে বল
ঠিক আছে!
কেন বল ঠিক আছে?
ঠিক নেই, কিচ্ছু ঠিক নেই,
তুমি ঠিক নেই, আমি ঠিক নেই।
এভাবে কি হয়?
জয় নয়, প্রেম মানে
আমাতে তোমার পরাজয়।
আমি তো পিছাই,
তাই বলে কি অবিরাম?
প্রেমের দেয়ালে গিয়ে ঠিকই আটকাই।
তুমি বলো ঠিক আছে!
কেন বলো, কেন আসো না
পিছে পিছে লুকিয়ে ভয়ে ভয়ে?
ঠিক নেই, কিচ্ছু ঠিক নেই।
তুমি ঠিক নেই, আমি ঠিক নেই।

প্রিয়তম, আমাকে ভুলিয়ে রেখো না শুধু

প্রিয়তম,

আমাকে ভুলিয়ে রেখো না শুধু,

আমাকে দাও তোমার সবকিছু।

আলো, অন্ধকার, তুমি

তোমার সবকিছু আমাকে দাও।

প্রিয়তম,

ভুলতে পারি না কোনোমতে,

তোমার একাকী ও ছবি,

তুমি হাস্যোজ্জ্বল, মায়াবী-

পিছনে যেন কার ছায়া

আবছায়া হয়ে আমাকে কাঁদায়।

প্রিয়তম,

দিন চলে যায়, রাত চলে যায়,

শুধু আশায় আশায়।

আকাশও আমার সাথে হাসে,

অন্তর্যামী দুঃখে ভাসে।

Next Post

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের (৯২তম ব্যাচ) ব্যতিক্রমী র‌্যাগ ডে পালন

ইাতহাস বিভাগের ৯২তম ব্যাচের র‌্যাগ ডে আয়োজন ছিল ব্যতীক্রমধর্মী। উচ্চ বাজনায়, হৈ হুল্লোড়ে ক্যাম্পাস না মাতিয়ে তারা তুলে ধরেছে ইতিহাস ঐতিহ্য, আনন্দ করেছে শৈল্পিকভাবে। র‌্যাগডে বলতেই আমরা বুঝি শিক্ষাবর্ষের শেষ দিনে সবাই নেচে গেয়ে আর আবির রঙে রঙিন হয়ে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে বিদায় নেবে। উচ্চশব্দের গানের তালে তালে নাচবে […]