♥
কাল একটা বাজি ধরেছিলাম—
ঘুমিয়ে যাব রাত বারোটায়,
উঠব সকাল আটটায়।
ঘুমিয়েছিলাম ঠিকই,
কিন্তু হায়!
সময় মতো ঘুম ভেঙ্গে
এখন আমি আরও বেশি দেখি তোমায়।
♥
গুণে গুণে আরও দশটা বছর বাঁচতে চাই—
অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপিগুলো সমাপ্ত করতে চাই,
সমাপ্ত পাণ্ডুলিপিগুলো প্রকাশ করতে চাই,
পোড়ো ভিটেয়
মায়ের জন্য একটা বাড়ি করতে চাই,
আর ঈশপের জন্য কিছু টাকা জমাতে চাই।
♥
তোমার কাছে আসতে চাই,
বুকের বাম পাশ্র্বে যখন ব্যথা ওঠে
বুঝতে পারি—
মানুষের হিসেবের পরোয়া করে না প্রকৃতি,
অন্তত একটা বইয়ের পাতায়
ধরে রাখতে চাই
এইসব বিরল কিছু ঘোরলাগা দিনের স্মৃতি।
♥
শব্দের কি এত শক্তি আছে বোঝাতে,
যে কতটা নিমগ্ন থাকি আমি তোমাতে!
আমার ধমনী শিরা এক হয়ে যায়
তোমাকে কাছে পাবার নেশায়!
♥
দূর থেকে ভালোবাসা
আমি মানতে পারি নাই,
আমি চাই চাই,
আমার গোপন ঈশ্বর
তোমাকে আমি চাই।
♥
মৃত্যপথযাত্রী যেমন
শেষ নিঃশ্বাসটা ছাড়ে স্বর্গের আশায়,
তেমন তুমি বাঁচাও আমায়!
ভ্রমেও তো কিছু ভালো থাকা যায়।
♥
স্বপ্নে আমি তোমায় যখন পাই,
মুহূর্তে কোথা থেকে যেন
দুঃস্বপ্নরা আসে—
আবার আমি তোমায় হারাই।
♥
কেমন তুমি যখন ঘুমাও,
ঘুম তোমায় দেখতে
আমার যে খুব ইচ্ছে হয়।
তোমাকে নিয়ে সব ইচ্ছেতেই
আমার নতুন একটা করে ভয়!
♥
তোমার একটা ঘুম ছবি চাই।
ঘুম মানুষ কি ছবি তুলতে পারে?
তবু অন্য হাতে নয়,
চাই না কেউ
আমার জন্য দেখুক তোমারে।
♥
তুমি ভুল বুঝো না,
তোমার জন্য আমিও যে
আমার কাছে খুব অচেনা।
♥
আযানের ধ্বনি সুর হয়ে আসছে,
লক্ষ তোমার ছবি বাতাসে ভাসছে।
♥
ঘুমিয়ে গেছো আবার
নেশাটা বাড়িয়ে তোমায় কাছে পাবার?
♥
বিশ্বাস করো
তোমাকে কাছে পেলে
আমি শুধু দেখতাম,
বিহ্বল হয়ে দেখতাম।
কবি: লন্ডন প্রবাসী সাহিত্যিক
পড়তে পারেন: