♥
কতবার যে ঘুরে ঘুরে ফিরে এসেছি!
ভেবেছিলাম— তোমায় দেখব
তোমায় নিয়ে
একটা স্বপ্ন উড়াল দেব
আকাশ সীমা পেরিয়ে যাব,
যেখানে কেউ নেই এমন
সবটা তুমি হবে
আমার একান্ত আপন,
সহস্র তুমি
সবার সাথে রোজ যেমন।
♥
তুমি কি
আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যস্ততায়,
নাকি নিজস্ব সে বিষাদে?
তুমি কি ঘুমাও শ্রান্তিতে,
নাকি স্বয়ং কিউপিড এসে
খুঁজে নিয়েছে তোমায় একান্তে?
♥
আমার খুব ঈর্ষা হয়
এমনকি যখন তোমার পাশ দিয়ে
একটা পিঁপড়াও হেঁটে যায়!
সংকীর্ণ আমি অপমানে কুঁকড়ে থাকি
বুকভাঙা ভণিতায়, কৃত্রিম বদান্যতায়
তোমার সভাসদদের তাচ্ছিল্ল সয়ে
তোমায় দেখি।
♥
আমার যে কী ভয়—
তোমাকে পাবার
না পেয়ে তোমায় হারাবার!
♥
সত্যটা বুঝি,
এভাবে তোমাকে চাই!
পরক্ষণেই নিষ্কৃতি খুঁজি।
♥
তোমার ভয় পেতে হবে না,
আমার সত্যি কিছুই লাগবে না,
অদৃষ্ট কোনো মায়ায়
আমি শুধু রোজ
এইটুকু বসি তোমায় ছায়ায়।
♥
ডাকে তো সবাই
বলতে পারো
কে কবে কোন ঈশ্বরকে পায়?
আমি তেমন ডাকি তোমায়।
♥
আমার ভালো লাগে
তোমার সবটুকু, সবই।
চেতনে অবচেতনে
বুদ্ধিতে, নির্বুদ্ধিতে—
আমার যে খুব ঘোর লাগে।
♥
কাউকে সহ্য হয় না এখন
মানুষেরে আমি ভালোবাসি
কিন্তু মানতে পারিনে বেশিক্ষণ,
অকারণে—
তবু তোমাকে আমার ভীষণ প্রয়োজন।
♥
তুমি আমার দেবতা,
আমার অধিশ্বর!
তোমাকে চাই চাই চাই—
বিনিময়ে কিছু যে নাই!
♥
তবু তুমি আমার—
নিষ্ক্রান্ত স্বপ্ন,
আর সকল অপূর্ণতার।
♥
কতভাবে যে তোমায় দেখি!
তোমার ছবিরা তো ‘না’ বলে না,
তুমি কী পারতে
এক সর্বহারা পথিকের জন্য
এভাবে নিশ্চল হতে?
♥
একটু অভয় দাও,
বাধ্য করো
প্রিয়,
এভাবে শুধু বিপন্ন করো না আর।
পড়তে পারেন: