বীর পুরুষেরা(?) পুলিশের সার্বাঙ্গীন সহায়তায় ওকে জেল থেকে বের আনল।পোষাক ছিঁড়ে নগ্ন করে রাজপথে ঘোরাতে লাগল। পাশ থেকে কেউ অনর্গল কিল-ঘুষি মারছে। কেউ লোহার রড ঢুকিয়ে দিচ্ছে মাথায়, পেটে, পিঠে, যৌনাঙ্গে।ওর অসহ্য মৃত্যুযন্ত্রনার চিৎকারে কেউ কান দিচ্ছে না।অনেকে পটাপট এই বীরত্বপূর্ন নৃশংস দৃশ্যের ছবি তুলছে।একদল ওকে টেনে নিয়ে রাস্তার রেলিংএর হুলের উপর সেটে দিচ্ছে, রেলিংএর হুল পেট দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে।একদল ফাঁসিতে চড়িয়ে মৃত্যু যন্ত্রনার সাধ নিচ্ছে।
শেষে একদল বীর ওর মরা দেহটা নিয়ে যীশুর মত ক্রুশে ঝুলিয়ে অতৃপ্ত আত্মার তৃষ্না মেটাচ্ছে।
না।
কেউ ওর সাহায্য এগিয়ে আসছে না।
পুলিশ, সাধারন মানুষ কেউ না।
ওর বাঁচার আকুতি কেউ শুনছে না।
বীর পুরুষদের খুনে মানসিকতার কাছে ওর কাতর আতর্নাদ হেরে গেছে!
কী নৃশংস দৃশ্য ! কল্পনা করতেই গা গুলিয়ে উঠছে।
ওর নাম ফরিদ খান।
ওর অপরাধ, ওর নামে ধর্ষনের অভিযোগ এনেছে এক তরুনী।
ও ধর্ষক প্রমানিত নয়।এগারো দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও
ফরেন্সিক রিপোর্টে ধর্ষনের কোন প্রমান পাওয়া যায় নি।
তবে কেন এই নৃশংস হত্যা ??
ওর যে আরও অপরাধ আছে, ও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ।সুতারাং ও অনুপ্রবেশকারী।
প্রবীন তেগড়িয়া, মোহন ভগবতের জ্বালাময়ী বক্তব্য শুনে বীরপুরুষদের যে রক্তের নেশা ধরেছে।একজন অনুপ্রবেশকারী ধর্ষককে হত্যার সুযোগ হাত তারা ছাড়া করবে কেন ?
কে শুনবে ও অনুপ্রবেশ কারী নয়। ওর বাবা দাদারা ইন্ডিয়ান আর্মিতে চাকরি করে।ওর দাদা কারগীল যুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর আক্রমনে গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
ধন্য দেশ প্রেমিকের দল।
তোমরা তেগড়িয়া, ভগবতদের আদর্শে এগিয়ে যাও। সুদিন তো তোমাদের এসেই গেছে।