ঢাকা বিখ্যাত ছিল শাঁখারীদের তৈরী শাঁখার জন্য। এটি বুড়িগঙ্গা নদীর কাছে ইসলামপুর রোড ও নওয়াবপুর রোডের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এই এলাকায় বসবাসকারী শাঁখারীদের নামানুসারেই এলাকাটির নামকরণ করা হয়েছে। শাঁখারীরা বংশগত ভাবে শাঁখা তৈরির কাজে নিয়োজিত। ঢাকার শাঁখারীদের আবাসিক এলাকা ছিল শাঁখারী বাজার, যা এখনও বহন করছে সেই ঐতিহ্য। তবে এখন আর শুধু শাঁখারিরাই নয়, বরং অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি রয়েছে শাঁখারিবাজারে। শাঁখার পাশাপাশি নানান ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিশেষ করে বিবাহ, সংগীত, জুয়েলার্স এবং পূজোর সরঞ্জামের ব্যবসা রয়েছে শাঁখারি বাজারে।
ইতিহাস
জেমস ওয়াইজের ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের বর্ণনা অনুসারে ঢাকায় ঐ সময় ৮৩৫ জন শাঁখারী বসবাস করতেন। ধারণা করা হয় যে, বল্লাল সেনের শাসনামলে শাঁখারীরা পূর্ববঙ্গে আগমন করে। তখন তারা বিক্রমপুর এ একটি বাজার – শাঁখারী বাজার এ অবস্থান করতেন। সতের শতকে মোগল শাসনামলে খাঁজনা বিহীন লাখেরাজ জমি প্রদান করে শাঁখারীদেরকে ঢাকা শহরে নিয়ে আসা হয়। শাঁখারীরা ঢাকায় এসে যে অঞ্চলে বসবাস শুরু করেছিল তা আমাদের কাছে বর্তমানে পরিচিত শাঁখারী বাজার নামে।
সপ্তদশ শতকের মোগল সুবেদার ইসলাম খাঁর সেনাপতি মির্জা নাথান এর লেখায় শাঁখারিবাজারের উল্লেখ রয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী শাঁখারী বাজারে গণহত্যা চালিয়েছিল। স্বাধীনতার পর শাঁখারীরা আবার এসে বসবাস শুরু করে সেই জায়গায়। তবে অনেকেই আর ফিরে আসেনি।
সূত্র: উইকিপিডিয়া হতে।