পাতাল ট্রেনও হবে!

ঢাকা-জয়দেবপুর রাজধানী শহর ঢাকায় আগমন ও বর্হিগমনের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। জনবহুল এ শহরে জনসংখ্যার পাশাপাশি বাড়ছে যানবাহনের চাপ, বাড়ছে যানজট। চাপ কিছুটা কমাতে ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে মাটির নিচ দিয়ে রেলপথ করার উদ্যোগ নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

কমলাপুর-টঙ্গী রুটের নিচে কোনো ইউটিলিটি সার্ভিস না থাকায় এ অংশে মাটির নিচে সাবওয়ে (পাতাল রেল) নির্মাণ ঝামেলামুক্ত হবে বলে ধারণা করছে কর্মকর্তারা

রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ রুটে ‍মাটির নিচ দিয়ে রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে ‘ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে সাবওয়ে নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ সাবওয়ে হবে ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত। নির্ধারণ করা হয়েছে সমীক্ষা প্রকল্পের ব্যয় ও পরমর্শকের ব্যয়ও।

প্রকল্পের সমীক্ষা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। সরকারি অর্থায়নে মার্চ ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ সমীক্ষা চালানো হবে। সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় কোনো যানবাহন সংগ্রহ অথবা ভাড়ায় ব্যবহারের সংস্থান না থাকলেও ফুয়েল ও লুব্রিকেন্ট বাবদ ১২ লাখ টাকা এবং যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ অর্থ সংস্থান রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে ৬ জন কর্মকর্তা ও ১০ জন সাপোর্ট স্টাফ।

ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির পরেই মূল প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হবে। সাবওয়ে নির্মাণের অভিজ্ঞতা নেই রেলওয়ের। ফলে প্রাথমিকভাবে স্বল্প পরিসরে কাজ করার চিন্তা করা হচ্ছে।

কমলাপুর-টঙ্গী রুটে পাতাল রেল নির্মিত হলে নগরীর যানজট অনেকাংশে কমে আসবে। অনেকেই টঙ্গী থেকে আরও সহজে ঢাকায় অফিস করতে পারবেন।

সাবওয়ে প্রসঙ্গে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন বলেন, কমলাপুর-টঙ্গী রুটে সাবওয়ে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা একেবারেই নতুন ধারণা।  সাবওয়ে নির্মাণের কোনো অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। ভারতের কলকাতাসহ আমাদের আশপাশের দেশে সাবওয়ে আছে। কিন্তু আমরা এখনও সাবওয়ে যেতে ‍পারিনি। স্বল্প পরিসরে আমরা সাবওয়েতে যেতে চাই। কমলাপুর-টঙ্গী রুটে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির কাজ শুরু করে দিয়েছি। পরে সমন্বিতভাবে আমরা মূল প্রকল্প গ্রহণ করবো।

#সংগৃহীত