
অন্তর্গত জীবন
এ পৃথিবীর সাথে অস্পষ্ট কিছু বিভেদ আছে আমার। এক বেমানান বিত্রস্থ জীবন। মাঝে মাঝে তবু কিছু স্বপ্নে অবগাহন। অন্তর্গত মহান কিছু বেদনা আছে, সেগুলো সম্পদ জানি— তবু তা হারিয়ে যাচ্ছে আমার স্বভাববিরুদ্ধ সুখ অন্বেষণে। দিব্যেন্দু দ্বীপ, ঢাকা
এ পৃথিবীর সাথে অস্পষ্ট কিছু বিভেদ আছে আমার। এক বেমানান বিত্রস্থ জীবন। মাঝে মাঝে তবু কিছু স্বপ্নে অবগাহন। অন্তর্গত মহান কিছু বেদনা আছে, সেগুলো সম্পদ জানি— তবু তা হারিয়ে যাচ্ছে আমার স্বভাববিরুদ্ধ সুখ অন্বেষণে। দিব্যেন্দু দ্বীপ, ঢাকা
পৃথিবীর কাছে অনেক প্রশ্ন আছে বাকী, উত্তরগুলো সব ওরা দিচ্ছে ফাঁকি। এ প্রশ্ন আর বাক্য ব্যয়ে হবে না, বুলেট ছাড়া ওরা ভালোবাসবে না, সব তা বাক্য ব্যয়ে হবে না। বুলেট ছুড়ে প্রশ্ন করার দিন, কেনো তুমি বাজাও শুধু বীন? পদে পদে বসে আছে শ্বাপদেরা, পথে পথে আপদেরা, ওদের কাছে প্রশ্ন করা শুধু বাক্য ব্যয়ে হবে…
♥ একটা নতুন জীবন হত তোমায় যদি পেতাম, তোমায় যদি পেতাম আমি ঠিক আকাশ হতাম। চাঁদটা বুকে পেতে নিতাম। ♥ তোমায় যখন প্রথম দেখি, সত্যি আমি চমকে উঠি! সবকিছু যে মানবে আমার, স্পর্দা দেয় অামায় নিয়ম ভাঙবার। ♥ জীবনের যত শূন্যতা তার চেয়ে তুমি ভীষণ বড়, পূর্ণ হতে চাই না সবই, তোমায় একটু যদি পাই…
নদীকে বলেছিলাম, আমি তোমার মতো, নদী বলল, আসো; ভাসিয়ে নিয়ে যাই সব, মানুষের সম্রাজ্য গড়ি! নদী হয়ে আমি জেনেছি সাগর কীভাবে নদীতে ভর করে লুটে নেয় সভ্যতা! মহাপ্লাবনেও সমুদ্র শান্ত ছিল! কারণ, সে জানে ভেসে আসবে সব তার কাছে ভয়ার্ত মিছিল হয়ে। পর্বতও ডুবেছিল সেদিন। বলতে পারো তবে সমুদ্র পাড়ে মাথা গুজে ভয়ার্ত সে কে…
অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে নিঃস্ব ওরা যারা আছে, ওদের থাকতে দাও নির্বিকারে নিমগ্ন হয়ে। ওদের উস্কে দিও না জেহাদে। জ্ঞানী হতেও বলো না ওদের তোমরা। ওরা বেঁচে নেই কখনো, ওদের শুধু শান্তিতে মরতে দাও। দিব্যেন্দু দ্বীপ
নিজের ছায়ার ভেতর প্রিয় ছায়া খুঁজি প্রহরগুলো আজকাল বড় বেশি শূন্য; শূন্যতায় ভেজানো নিস্তব্ধ প্রহর গুণে গুণে সবটুকুই যত্ন করে তোমার জন্য তুলে রাখি ! চুঁড়ি ভাঙার শব্দ, খালি বর্তনের টুং-টাং শব্দ পিপাসিত গ্লাসে জল ঢালার শব্দ বাতায়ন পাশে বাতাসের হেঁটে যাওয়ার শব্দ অদ্ভুত কলোলিত হৃদপিণ্ডের স্পন্দন! শুকনো পাতার মত বেজে উঠা দীর্ঘশ্বাস, ফেরিওয়ালার হাঁক…
পৃথিবীতে মানুষ বাঁচেনি আজও, বেঁচে আছে কিছু ধর্ম শুধু অমানুষের কাঁধে ভর করে। বাঙালি ১৯৭১-এ শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিয়েছিল পশ্চিম-বাঙলায়। এবার ১৯১৭-এ ‘বাঙালি’ শরণার্থী হয়ে এসেছে দেশ-বাঙলায়। পৃথিবীতে দেশের নামে এখনও মানুষ মানুষকে খেদায়! বলতে পারো কে দিয়েছিল প্রথম বেড়া সীমানায়? ছিঁড়তে হবে এখন তারকাঁটা, ছিঁড়তে হবে সব জাতীয় পতাকা। দিব্যেন্দু দ্বীপ
১ কোনোদিন সত্যিই তোমার মুখোমুখি দাঁড়াব। অনভ্যাসে সেদিন তুমি মুখ ফিরিয়ে নেবে। আবার পুনরায়, এভাবে বারংবার, তারপর একদিন আমরা চেনা হব ঠিকই। সেদিন তোমায় আকণ্ঠ পান করে পুষিয়ে নেব তোমার আমার কালের ব্যবধান যত। ২ সমু্দ্র সৈকতে যাব না তোমায় নিয়ে, না কোনো পর্বত প্রান্তে। জনমানবহীন গভীর জঙ্গলে চলে যাব, যেখানে নেই কোনো সভ্যতার ভাণ…