শনি রবি দূরদর্শন বাংলা হিন্দি সিনেমা; শাটার টানা সাদা কালো টিভির তখন জামানা। এন্টেনায় কাক বসলে পরে ঝিরি ঝিরি ঝিরি কথায় কথায় বিঘ্ন ঘটে ভীষণ বিচ্ছিরি। তবু কত অপেক্ষা কত আকুতি পাড়ায় কটি টিভি ছিল সহজ সে গুনতি। ভোটের খবর; ক্রিকেট ম্যাচ; সব কিছু ঘিরে যার বাড়িতে থাকত টিভি উপচে পড়ত ভিড়ে। এমনই এক বাড়ি…
চিরদিন পৃথিবীতে কেউই থাকে না মিছেমিছি কেন তুমি এত ভয় পাও আজীবন কাউকে কেউ মনেও রাখে না তাই বলি, আঁচলের গিঁট খুলে দাও! কোথাও না কোথাও পেয়ে যাব ঠাঁই– কিছুটা কমুক তবু তোমার এ দায় ঠিকানা বদল করে যতদূর যেখানেই যাই তোমাকে না ছোঁয় যেন আমার বিদায়! দূরের প্রদীপ আমি–আলো তাই ক্ষীণ– আমার আলোয় তুমি…
পর্যায় থেকে পর্যবসিত হওয়ার আগে একটা অবধারিত প্রশ্নবোধকে ত্রিশঙ্কু হয়ে আছে কিছু প্রশ্নের উত্তর– যার কোনোটাই জিজ্ঞাসা ছিল না কোনোদিন আসি বলেইতো চলে যাওয়া যায় সকল শঙ্কটের যদি এভাবেই রেশ থেকে গেল—তবে প্রতিটি ভবিতব্যকেইতো প্রশ্ন করতে হয়—অর্জুনের চাঁদমারি খেলায় কর্ণের বনামে সিদ্ধ হস্তে বধ করতে হয় রেফারেন্স প্রেফারেন্স তুমি আমি ইতিহাস মাটি ও মিথ অতঃপর…
কোথাও কেউ নেই, সমুদ্র পার হয়ে এলে অবেলায় মাঠে কারও থাকবার কথা থাকে না– মায়াবতী ইচ্ছেরা নীলের ক্যানভাসে লেখে আজগুবি কল্পনার গল্প– বিমর্ষ বিকেলে অবিরাম কড়া নাড়ে প্রাসাদের ভুল দরজায়। শাহিদা সুলতানা
কবি, কবিত্ব লুকাও, লুকাও তোমার মুঠো মুঠো আদ্র হৃদয়; ওদের চেয়ে দিগুণ জোরে কষে লাথি মারো ভৃত্যের কাছায়। হাবভাবে অবিকল কিছু মূর্তি বানাও, পিছে পিছে, বাহন হয়ে; চলতে থাকো। অভিশপ্ত ভাবো দুনিয়ার মজদুর যতো। এভাবে, প্রকারে আকারে, হাসি ঠাট্টায়, আড়ম্বরে ভিড়ে যাও ওদের দলে। হয়ে যাও একদম ওদের মতো। ভাব আর ভোগের দুনিয়ায়…
তোমার মধ্যবিত্ত ভালবাসা ভাল লাগে না আমার হাতে হাত রেখে পার হতে চাই না আার চোখ বাঁধা অন্ধকার। অন্ধ পাখির সাথে দেখা হল না আজও একটা বাবুই ঠোঁটে করে ঘর বয়ে আনে আমি চোখ বুজে রই। এই মুহুর্তের ভাবনারা অলস বসে আছে আমার চোখের পাশে পড়ে আছে এক টুকরো জোনাকি। মুঠো খুলে কেউ রেখে দিলো…
১ পাথর কেটে মধ্যে ফুল পেয়েছি, ভেঙ্গেছে সব ভুল— সেখানে বিহ্বল অবিরত এক জীবন, প্রলম্বিত যৌবন, পাথরে সুরক্ষিত রয়। নিষ্পাপ সরল আকার আকৃতি এভাবে পাথর চীর অব্যয়। ২ নাম শুধু ভিন্ন নদী সকল নিরবিচ্ছিন্ন, তৃষ্ণা মেটে একইরূপে, একই স্রোত একইভাবে বহমান গভীরতা না জানলে অবগাহনে কতটুকু মাপতে পারো তুমি তার? ৩ পোষ মেনে ছিলাম…
সভ্যতার ঘুলগুলিতে যন্ত্রণার ছাপ আজও স্পষ্ট তবুও তোমার চোখে স্বপ্নের ছায়া। বেঁচে থাকার এই ঘোর সঙ্কটেও, তুমি হেঁটে চলো কার্নিশ ধরে; পাতাল সুর বেজে চলে পতন আহ্বানে। তবুও চির চেনা চোখ, বুক ও হৃৎপিণ্ড মৃত্যুকে অস্বীকার করে কোনো এক ভোরে. র্যাঁবোর হাত ধরে নরক দরজা ভেঙ্গে নির্বাণযাত্রায়, অতঃপর দুঃখবোধের প্রেমময় অজগর; সামাজিক বিবর্তন আঁকড়ে ধরে…
