দেশে-বিদেশে সমালোচিত, বিতর্কিত সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ‘লজ্জা থাকলে’ আর সংসদের অধিবেশনে যোগ দেবেন না- এমন মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
সেলিম ওসমানের উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় যে ধরনের প্রতিবাদ হয়েছে, সেই ভাষা তাদের বোঝা উচিত। আমি মনে করি, তারা নৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। ওই সংসদ সদস্যের যদি সামান্যতম লজ্জা থাকে, তাহলে তিনি অধিবেশনে যোগ দেবেন না।”
সেলিম ওসমানকে প্রতিবাদের ভাষা বোঝার পরামর্শও দিয়েছেন এ আওয়ামী লীগ নেতা।
রোববার (২২ মে) লাঞ্ছিত শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে একদল লোক গত ১৩ মে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে মারধর করে। পরে তাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করান প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সদস্য সেলিম ওসমান।
স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ শিক্ষক শ্যামলকে সাময়িক বরখাস্ত করলেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি জানিয়ে স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এবং পুনর্বহাল করা হয় ওই শিক্ষককে।
শিক্ষক ও আইনজীবীরা ওই ঘটনার জন্য সেলিম ওসমানসহ জড়িতদের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও সমালোচনা করেছেন।
সাংসদ সেলিম ওসমানসহ যাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি একটি রুলও জারি করেছে হাই কোর্ট।
সেলিম ওসমান অবশ্য বলেছেন, ফাঁসি হলেও ওই ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না। সংবাদ সম্মেলন করে এই সংসদ সদস্য দাবি করেছেন, শ্যামলকে তিনি ‘কান ধরাননি’, শিক্ষক নিজেই ধরেছেন।