প্রতিদিনের মতো আরবি পড়তে গত বৃহস্পতিবার মসজিদে গিয়েছিল আট বছরের শিশু সুমাইয়া। কিন্তু পড়া শেষে সে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার দেখা মেলেনি। পরে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিনি জানান, তিনি শিশুটিকে মসজিদের পাশের ডোবায় ফেলে দিয়েছেন। পরে সেই ডোবা থেকে মেলে শিশুটির লাশ।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঘটে এ ঘটনা। গতকাল শুক্রবার রাতে পুলিশ উপজেলার বরপা সুতলারা এলাকায় মসজিদের পাশের ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। আর এ মুয়াজ্জিন হলেন মোল্লাবাড়ি জামে মসজিদের জহিরুল ইসলাম (৩০)।
নিহত শিশু সুমাইয়ার বাবা ওয়াজিত মিয়া সাংবাদিকদের জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে সুমাইয়া ও পাশের বাড়ির তামান্না সুতালারা মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে আরবি পড়তে যায়। পড়া শেষে তামান্না বাসায় ফিরলেও সুমাইয়া বাসায় ফেরেনি। তারপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। গতকাল শুক্রবার রাতে মসজিদের পাশের ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মুয়াজ্জিন জানিয়েছেন, আরবি পড়া শেষে মসজিদ ঝাড়ু দেওয়ার জন্য সুমাইয়াকে রাখা হয়। কিন্তু শিশুটি মসজিদের সিঁড়ি ঝাড়ু দিতে গিয়ে আহত হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী তাঁকে মারধর করতে পারে, এই ভয়ে তিনি সুমাইয়াকে মসজিদের পাশের ডোবায় ফেলে দেন।
ওসি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। শিশুটিকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তাও ময়নাতদন্তে দেখা হবে।
সূত্র: প্রথম আলো