খুলনা মেডিকেলে ঢুকলে যে কারো মনে হবে যে, এটা একটা শরণার্থী শিবির। এমনিতেই অপ্রতুল সুযোগ সুবিধা নিয়ে রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসকরা হিমসিম খায়। এর সাথে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক পাণ্ডাদের দৌরাত্ম্য। এমনকি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ওষুধের দোকানের প্রতিনিধিদের। রোগীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওষুধের তালিকা তৈরি হয়ে যাচ্ছে, কিছু ওষুধ কাজে লাগছে, কিছু ওষুধ কাজে লাগছে না, কিন্তু রোগীদের বিল ঠিকই দিতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অনেক চিকিৎসও নাকি এই সিন্ডিকেটের অন্তর্ভুক্ত। প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক, কারণ, চিকিৎসকেরা না চাইলে ওষুধের দোকানের কোনো প্রতিনিধি ওয়ার্ডে কীভাবে যায়। নিচের ছবির প্রেসক্রিপশনটি দেখুন— নিউরোপ্যাথিক পেইন নিয়ে অস্থির হচ্ছে, এরকম কোনো রোগীর জন্য এই প্রেসক্রিপশন হতে পারে? রোগীদের দাবী— খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিকে সেবামূলক করার জন্য দালাল এবং রাজনৈতিক পান্ডাদের দূর করার কোনো বিকল্প নেই। কোনো এমার্জেন্সি রোগী গেলে আগে তারা কাগজ কলমে সবকিছু ঠিক রাখতে চায়, রোগীর বাঁচা মরা পরে! এমতাবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজের ওপর নজরদারী বাড়ানোর কোনো বিকেল্প নেই বলে দাবী করেছে রোগীর স্বজনেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেছেন, এত অপ্রতুল সুযোগ সুবিধা নিয়ে সেবা দেওয়া কঠিন, পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিচয়ের চিকিৎসকরা তাদের অনুগতদের দিয়ে যেভাবে খাবার সহ সকল জিনিসপত্রের সরবরাহ পেতে চায়, সেটি চিকিৎসাসেবা যথাযথভাবে দেওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
—————————————————————————————————-